কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে হুয়াওয়ে’র কাছে বিশ্ব বাজারের শীর্ষস্থান হারানোর পর আগস্ট নাগাদ তা পুনরায় অর্জন করেছে স্যামসাং।
বাজারের মোট হিস্যার ২২ শতাংশ এই দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির দখলে রয়েছে বলে জানানো হয়, যা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনামূলক বিচারে সর্বোচ্চ। ১৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাজারের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে।
লকডাউনের সময়ে বিশ্বের বেশকিছু বাজারে নিষেধাজ্ঞাজনিত জটিলতার কারণে স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা ২০ শতাংশে নেমে আসে। তবে, এর পরপরই অনলাইন মাধ্যমগুলোতে বেশকিছু জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্যামসাং। লকডাউনের পর প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের মতো একই পন্থায় ভারতীয় বাজারে সর্বোচ্চ হিস্যা দখলের রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়।
গবেষণাটি থেকে আরও জানা যায়, শাওমি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে বিশ্ববাজারে নিজ বাজার হিস্যা ৮ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। মধ্যপূর্ব ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের শক্ত অবস্থানের দরুণ শাওমি তাদের এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে।
বাজারে ১২ শতাংশ হিস্যা নিয়ে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত একই অবস্থান ধরে রেখেছে অ্যাপল। তবে, কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ইঙ্গিত অনুযায়ী, আইফোন ১২ মুক্তি পাওয়া উপলক্ষে বাজারে অ্যাপলের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত আইফোন ১১ এবং আইফোন এসই’র বদৌলতে অ্যাপল বাজারে তাদের দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
কাউন্টার রিসার্চের বিশ্লেষক মিনিসো কাংয়ের মতে, ‘রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভূরাজনৈতিক নীতিমালা এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে স্মার্টফোনের বিশ্ববাজার বেশ প্রভাবিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলগুলোতে বাজার দখলের প্রচেষ্টাস্বরূপ আরও নানারকম বাণিজ্যিক প্রচারণা দেখা দেবে। ফলে, বাজারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হারও বাড়বে বলে আশা করা যায়। গোটা প্রক্রিয়াটি থেকে স্যামসাং, অ্যাপল, শাওমি এবং অপো’ই চূড়ান্ত লাভবান হবে বলে আমাদের ধারণা।’