অর্থনীতি ডেস্কঃ মহামারির ধাক্কায় গোটা বিশ্বেই সোনার দাম অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে। তবে অর্থনীতিতে একটা কথা রয়েছে, ‘দাম বাড়লে চাহিদা কমে।’
এ নীতির ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটছে সোনার দামের ক্ষেত্রে। এখানে দাম বাড়ার সাথে সাথে চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অর্থাৎ বাড়তি দাম হলেও মানুষ পণ্যটি কিনছে চাহিদা মতো। ফলে বাড়তি চাহিদা মেটাতে আমদানিতে ঝুঁকছে সোনা ব্যবসায়ীরা।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বুধবার (৭ অক্টোবর) ২৪ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরি ৫১ হাজার ৬২৩ টাকা এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরি ৪৭ হাজার ৩২২ টাকা।
অন্যদিকে, অবৈধ পথে সোনা আমদানি ঠেকাতে নীতিমালা করেছে সরকার। সেই নীতিমালা অনুযায়ী দুই বছরের জন্য ১৯ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়। গত কয়েকমাসে দাম বৃদ্ধির পরও চাহিদা বাড়তে থাকায় আমদানির এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জুনে সোনা আমদানি কারক কোম্পানি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ১১ হাজার গ্রাম পাকা সোনা আমদানি করে। পরের চালানে অ্যারোসা গোল্ড ক্রোপ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান ১৪ হাজার গ্রাম সোনা আমদানি করে। এছাড়া আরও ছয় প্রতিষ্ঠানের করা প্রায় সাড়ে ৫২ কেজি (প্রায় সাড়ে চার হাজার ভরি) সোনা আমদানির আবেদন বিবেচনাধীন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন সোনার প্রচুর চাহিদা। বর্তমানে দেশের বাজারের ১৫ থেকে ২০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তারা।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স গত ৫ অক্টোবর আগের দিনের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৯১৩ ডলারে দাঁড়ায়। ৬ অক্টোবর ৩৭ ডলার কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৭৬ ডলার। বুধবার (০৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাংলাদেশ সময় রাত দশটা পর্যন্ত ১১ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৮৬ ডলারে।
এদিকে দেশের বাজারে, সবশেষ চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭৪ হাজার ৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬২ হাজার ১১১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।