ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে হাসপাতাল থেকে স্বামী পালালেন, স্ত্রীর মৃত্যুর কথা শুনে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝর্ণা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর কথা শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন স্বামী আসিফ ও তার স্বজনরা।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ঝর্ণা বেগম উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী।

ঝর্ণার পাঁচ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। একই উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে ঝর্ণা।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের কারণে সকালে বিষপান করেন ঝর্ণা। তাকে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে স্বামী আসিফ শেখ ও স্বজনরা লাশ রেখে পালিয়ে যান। সংবাদ পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তবে ঝর্ণার ভাই ও পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে ঝর্ণাকে হত্যা করা হয়। পরে মুখে বিষ ঢেলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

ঝর্ণার ভাই রায়হান বলেন, দুই বছর আগে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ শেখের সঙ্গে ঝর্ণার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। গত বছর যৌতুকের সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি আমরা।

কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ঝর্ণাকে তার স্বামী বেধড়ক মারধর করে। নির্যাতনের পর ঝর্ণার মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাফিন জব্বার বলেন, হাসপাতালে আনার পর ওই গৃহবধূকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়। নাক, মুখ ও কপালসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে গৃহবধূর। যার কারণে মারা যাওয়ার পর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এর আগেই স্বজনরা পালিয়ে যান।

বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূ ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। হাসপাতাল থেকে মৃতের স্বজনরা পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস

রাজবাড়ীতে হাসপাতাল থেকে স্বামী পালালেন, স্ত্রীর মৃত্যুর কথা শুনে

আপডেট সময় ০৬:৩১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝর্ণা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর কথা শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন স্বামী আসিফ ও তার স্বজনরা।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ঝর্ণা বেগম উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী।

ঝর্ণার পাঁচ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। একই উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতিমোহন গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে ঝর্ণা।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের কারণে সকালে বিষপান করেন ঝর্ণা। তাকে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে স্বামী আসিফ শেখ ও স্বজনরা লাশ রেখে পালিয়ে যান। সংবাদ পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তবে ঝর্ণার ভাই ও পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে ঝর্ণাকে হত্যা করা হয়। পরে মুখে বিষ ঢেলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

ঝর্ণার ভাই রায়হান বলেন, দুই বছর আগে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের আসিফ শেখের সঙ্গে ঝর্ণার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। গত বছর যৌতুকের সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি আমরা।

কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ঝর্ণাকে তার স্বামী বেধড়ক মারধর করে। নির্যাতনের পর ঝর্ণার মুখে বিষ ঢেলে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাফিন জব্বার বলেন, হাসপাতালে আনার পর ওই গৃহবধূকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়। নাক, মুখ ও কপালসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে গৃহবধূর। যার কারণে মারা যাওয়ার পর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এর আগেই স্বজনরা পালিয়ে যান।

বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূ ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। হাসপাতাল থেকে মৃতের স্বজনরা পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।