ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় ফজলুর রহমান হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন Logo জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ আটকে দিলেন আদালত Logo বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে হাজারো মানুষের ঢল, নিয়ন্ত্রণ নিতে সেনাবাহিনী Logo শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালে ভারতকে দায় নিতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা Logo নতুন দুই বিভাগ ও দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের Logo নওগাঁ সীমান্ত থেকে ১ যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Logo গাজীপুরে পিকআপভ্যান খাদে পড়ে তিন জন নিহত Logo নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে গাজা দখলের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Logo মাকে মারধর করছিল ছেলে, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন Logo পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ. লীগ নেতা গ্রেফতার

জনগণের সেবা করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের সেবা করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, অফিশিয়াল কাজের গতিশীলতা নিয়ে আসার জন‌্যই কর্মসম্পাদন চুক্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলনে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ‌্যমে আমরা কী করলাম, তার ফলাফল কী আছে সেটা দেখা। কতটুকু অর্জন করলাম, যে কাজ আমরা হাতে নিলাম সেটা কতটুকু করতে পারলাম।

বঙ্গবন্ধু তার এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও আরাম-আয়েশ সবকিছুই হয় সাধারণ মানুষের টাকায়’। যাদের টাকায় বেতন দেয়া হয় তাদের কী দিলাম, কী দিতে পারলাম সেটাই মূল বিষয়।”

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের যে ওয়াদা দিই, ইশতেহারে যে কর্মসূচি ঘোষণা করি, তা কিন্তু ভুলে যাই না। প্রতি বছর বাজেট করার সময় আমরা আমাদের কর্মসূচি সামনে রেখে বাজেট করি।

কিন্তু সময় তো আমাদের খুব কম। মাত্র পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসি। এই পাঁচ বছরে কত দ্রুত উন্নতি করা যায় সেটাই আমাদের চিন্তায় থাকে।

দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি তখন আমরা চিন্তা করলাম, বার্ষিক কর্মসূচি সম্পাদনের মাধ্যমে আমাদের কী কী কাজ করতে হবে। আমরা সরকারি কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এ কর্মসম্পাদন চুক্তি করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় থাকলে তারা কখনও জবাবদিহি করে না। ডিক্টেটর অ্যাটিচিউডের (মনোভাব) কারণেই তারা মনে করে, তারা যাই করবে তাই ভালো।

কিন্তু তাদের সেই কর্মের কুফল উপভোগ করে সাধারণ মানুষ। তাদের ক্ষমতার সুফল ভোগ করে তাদের আশপাশে থেকে গড়ে ওঠা কিছু লোক। দেশের মানুষ অবহেলিত থাকে।

সেই অবহেলা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করা, জনগণের সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, অফিশিয়াল কাজের গতিশীলতা নিয়ে আসা, সরকারি কর্মসম্পাদন ফলাফল নির্ভর করা, অর্থাৎ আমরা কী করলাম তার ফলাফল কী আছে, সেটা দেখা কতটুকু অর্জন করলাম।

ট্যাগস

নওগাঁয় ফজলুর রহমান হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন

জনগণের সেবা করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের সেবা করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, অফিশিয়াল কাজের গতিশীলতা নিয়ে আসার জন‌্যই কর্মসম্পাদন চুক্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলনে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ‌্যমে আমরা কী করলাম, তার ফলাফল কী আছে সেটা দেখা। কতটুকু অর্জন করলাম, যে কাজ আমরা হাতে নিলাম সেটা কতটুকু করতে পারলাম।

বঙ্গবন্ধু তার এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও আরাম-আয়েশ সবকিছুই হয় সাধারণ মানুষের টাকায়’। যাদের টাকায় বেতন দেয়া হয় তাদের কী দিলাম, কী দিতে পারলাম সেটাই মূল বিষয়।”

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের যে ওয়াদা দিই, ইশতেহারে যে কর্মসূচি ঘোষণা করি, তা কিন্তু ভুলে যাই না। প্রতি বছর বাজেট করার সময় আমরা আমাদের কর্মসূচি সামনে রেখে বাজেট করি।

কিন্তু সময় তো আমাদের খুব কম। মাত্র পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসি। এই পাঁচ বছরে কত দ্রুত উন্নতি করা যায় সেটাই আমাদের চিন্তায় থাকে।

দ্বিতীয়বার যখন ক্ষমতায় আসি তখন আমরা চিন্তা করলাম, বার্ষিক কর্মসূচি সম্পাদনের মাধ্যমে আমাদের কী কী কাজ করতে হবে। আমরা সরকারি কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য এ কর্মসম্পাদন চুক্তি করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় থাকলে তারা কখনও জবাবদিহি করে না। ডিক্টেটর অ্যাটিচিউডের (মনোভাব) কারণেই তারা মনে করে, তারা যাই করবে তাই ভালো।

কিন্তু তাদের সেই কর্মের কুফল উপভোগ করে সাধারণ মানুষ। তাদের ক্ষমতার সুফল ভোগ করে তাদের আশপাশে থেকে গড়ে ওঠা কিছু লোক। দেশের মানুষ অবহেলিত থাকে।

সেই অবহেলা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করা, জনগণের সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, অফিশিয়াল কাজের গতিশীলতা নিয়ে আসা, সরকারি কর্মসম্পাদন ফলাফল নির্ভর করা, অর্থাৎ আমরা কী করলাম তার ফলাফল কী আছে, সেটা দেখা কতটুকু অর্জন করলাম।