ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি মারা গেছে

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার শিশুটির চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হঠাৎ করে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়। আজ হয় দু’বার। এরমধ্যে আজ দ্বিতীয়বার হওয়া কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রায় ৩০ মিনিট পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। শিশুটির ব্রেন ফাংশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিলো। সবশেষ তৃতীয় দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর সে চলে গেলো না ফেরার দেশে।

শিশুটিকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আইএসপিআর ও প্রেস উইং থেকেও শিশুটির জন্য একাধিকবার দোয়া চাওয়া হয়। তবে, সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে মেয়েটি চলে গেলো চিরতরে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। এর আগে মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এরপর গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি মারা গেছে

আপডেট সময় ০১:৫০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার শিশুটির চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হঠাৎ করে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়। আজ হয় দু’বার। এরমধ্যে আজ দ্বিতীয়বার হওয়া কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের প্রায় ৩০ মিনিট পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। শিশুটির ব্রেন ফাংশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিলো। সবশেষ তৃতীয় দফা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর সে চলে গেলো না ফেরার দেশে।

শিশুটিকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল। সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আইএসপিআর ও প্রেস উইং থেকেও শিশুটির জন্য একাধিকবার দোয়া চাওয়া হয়। তবে, সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে মেয়েটি চলে গেলো চিরতরে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়। এর আগে মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এরপর গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।