ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৪ জনের মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- যাত্রাবাড়ীর নির্মাণ শ্রমিক নয়ন হাওলাদার (৪৫), ডেমরার সাকিবুর রহমান (৩৫), হাজারীবাগের মোহাম্মদ বিশাল (১৮) ও মহাখালীর গৃহবধূ ফরিদা বেগম (৪৫)।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান নির্মাণ শ্রমিক নয়ন হাওলাদার।

বেলা ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নয়ন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাইছা গ্রামের অমৃত রব্বান হাওলাদারের ছেলে।

দুপুর ১টার দিকে ডেমরার বাসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সাকিবুর। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢামেকে নেয়া হয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কালীনগর গ্রামে। বর্তমানে ডেমরার পূর্বপাইটিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এদিকে দুপুর ২টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকার জামিয়াতুল বেলাল মাদরাসায় থাইগ্লাস লাগানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মোহাম্মদ বিশাল।

তাকে উদ্ধার করে ঢামেক জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৩টায় মৃত ঘোষণা করেন। বিশাল লালবাগ নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

অপরদিকে মহাখালীর টিভি গেট এলাকার বাসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহবধূ ফরিদা বেগম। বিকেল সাড়ে ৪টায় অচেতন অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সবগুলো মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
ট্যাগস

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৪ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- যাত্রাবাড়ীর নির্মাণ শ্রমিক নয়ন হাওলাদার (৪৫), ডেমরার সাকিবুর রহমান (৩৫), হাজারীবাগের মোহাম্মদ বিশাল (১৮) ও মহাখালীর গৃহবধূ ফরিদা বেগম (৪৫)।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান নির্মাণ শ্রমিক নয়ন হাওলাদার।

বেলা ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নয়ন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাইছা গ্রামের অমৃত রব্বান হাওলাদারের ছেলে।

দুপুর ১টার দিকে ডেমরার বাসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সাকিবুর। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢামেকে নেয়া হয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কালীনগর গ্রামে। বর্তমানে ডেমরার পূর্বপাইটিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এদিকে দুপুর ২টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকার জামিয়াতুল বেলাল মাদরাসায় থাইগ্লাস লাগানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মোহাম্মদ বিশাল।

তাকে উদ্ধার করে ঢামেক জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৩টায় মৃত ঘোষণা করেন। বিশাল লালবাগ নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

অপরদিকে মহাখালীর টিভি গেট এলাকার বাসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহবধূ ফরিদা বেগম। বিকেল সাড়ে ৪টায় অচেতন অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সবগুলো মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।