বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় শিমুল হোসেন শুটকা (৩০) নামে এক হোটের শ্রমিককে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার সান্তাহার মালগুদামের পাশে বিসমিল্লাহ হোটেলের দই তৈরি কারখানা থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মৃত শিমুল হোসেন ওরফে শুটকা উপজেলার সান্তাহার হলুদঘর এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিমাই, সুব্রত, কাজল ও দেলোয়ার নামে বিসমিল্লাহ হোটেলের চার কর্মচারীকে আটক করেছে।
জানা যায়, শিমুল হোসেন ওরফে শুটকা সান্তাাহারস্থ বিসমিল্লাহ হোটেল ও দই তৈরি কারখানায় কর্মচারী হিসেবে প্রায় ৪ বছর ধরে কাজ করছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যে দই কারখানায় রাতে থাকতেন।
তিনি প্রতিদিনের মত গত ২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় বাড়ি থেকে তার কর্মস্থলে আসে। ২৬ আগস্ট (বুধবার) সারাদিন কাজ শেষে দই তৈরি কারখানায় ঘুমিয়ে পড়েন।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘরে শিমুল হোসেনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
এদিকে নিহতের বাবা শাহজাহান আলী অভিযোগ করেন তার ছেলে ২৫ আগস্ট বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।
এ ব্যপারে ওই হোটেল-কারখানার কয়েকজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।