স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: বাল্যবিয়ের জেরে নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলায় মোস্তারিফা বন্যা (১৩) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১৫ আগস্ট) বিকালে তার স্বামীর বাড়ী খেড়শুকনা গ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পরিবারের সকলের অজান্তে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বন্যা।
নিহত বন্যা ধামুইরহাট উপজেলার ভাতগ্রামের ওবায়দুল হকের মেয়ে ও মইশড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের নাতনি। সে স্থানীয় চকময়রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বন্যার বাবা তার মা রেনু আরাকে প্রায় ১২ বছর পূর্বে তালাক দেয়। তারপর থেকে সে মায়ের সাথে নানার বাড়িতে থাকত।
প্রায় দুই মাস আগে উপজেলার খেড়শুকনা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে রুবেল হোসেনের (২২) সাথে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত অবস্থায় জোর করে বন্যার বিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর হঠাৎ বন্যা তার স্বামী রুবেল হোসেনকে নিয়ে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে সকলের অজান্তে শুক্রবার আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সবশেষ শনিবার বিকালে তার স্বামীর বাড়ি খেড়শুকনা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামুইরহাট-
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মমিন বলেন, মেয়েটির মা রেনু আরা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাল্যবিয়ের জেরে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে কীভাবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।