ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় এক মাসে পানিতে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁঃ নওগাঁ জেলায় গত এক মাসে পানিতে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বয়স্ক, কলেজছাত্র এবং শিশু রয়েছেন।

গত জুলাই মাসের মধ্যভাগ থেকে শুরু করে চলতি মাসের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ২০ দিনের ব্যবধানে এতোগুলো প্রাণহানি হয়েছে। গত ২৬ জুলাই জেলার আত্রাই উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ইরান হোসেন (৮) এবং ইরা (১৬) নামে দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়।

তারা রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইয়ানত আলীর সন্তান। অন্য দিকে একই দিনে জেলার বদলগাছী উপজেলায় নওগাঁর-

ছোট যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে পলক নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। পলক উপজেলার মাস্টার পাড়ার রতন কুমার মণ্ডলের ছেলে।

এর ঠিক একদিন আগে ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় আত্রাই উপজেলার শুটকি গাছা গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায় হাবিবা ও হালিমা নামে দেড় বছর বয়সী যমজ দুই বোন। তারা শুটকি গাছা গ্রামের মোতাহার আলীর মেয়ে।

অন্যদিকে জুলাই মাসের ২৭ তারিখে জেলার পোরশা উপজেলায় পুকুরে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলো উপজেলার যুগিডাঙ্গা ইসলামপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জিহাদ হোসেন (৩) এবং আবুল কালামের ভাই আবু তাহেরের ছেলে আরাফাত হোসেন (২)।

৫ আগস্ট জেলার মান্দা উপজেলার চককসবা বিলে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। তারা হলেন উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চকদেবীরাম গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬৫) ও রইছ উদ্দিন (৫৫)।

এরপর সবশেষ ৯ আগস্ট মান্দা উপজেলার ছোটবেলাদহ গ্রামে পুকুরে ডুবে আজিজা (৩) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।
আজিজা ওই গ্রামের আকাশ হোসেনের মেয়ে।

একই দিনে মান্দায় বিলের পানিতে ডুবে স্কুলছাত্র আশিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পানিতে ডুবে জেলায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শিশু মৃত্যুর বিষয়ে নওগাঁ আদালতের আইনজীবী ডি এম আব্দুল বারী  জানান, পারিবারিক সচেতনতার অভাবে-

মূলত পানিতে ডুবে শিশুদের এমন অকাল মৃত্যু হচ্ছে। এজন্য মাসহ পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি আলাদা নজর বাড়াতে হবে।

ট্যাগস

নওগাঁয় এক মাসে পানিতে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁঃ নওগাঁ জেলায় গত এক মাসে পানিতে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বয়স্ক, কলেজছাত্র এবং শিশু রয়েছেন।

গত জুলাই মাসের মধ্যভাগ থেকে শুরু করে চলতি মাসের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ২০ দিনের ব্যবধানে এতোগুলো প্রাণহানি হয়েছে। গত ২৬ জুলাই জেলার আত্রাই উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ইরান হোসেন (৮) এবং ইরা (১৬) নামে দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়।

তারা রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইয়ানত আলীর সন্তান। অন্য দিকে একই দিনে জেলার বদলগাছী উপজেলায় নওগাঁর-

ছোট যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে পলক নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। পলক উপজেলার মাস্টার পাড়ার রতন কুমার মণ্ডলের ছেলে।

এর ঠিক একদিন আগে ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় আত্রাই উপজেলার শুটকি গাছা গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায় হাবিবা ও হালিমা নামে দেড় বছর বয়সী যমজ দুই বোন। তারা শুটকি গাছা গ্রামের মোতাহার আলীর মেয়ে।

অন্যদিকে জুলাই মাসের ২৭ তারিখে জেলার পোরশা উপজেলায় পুকুরে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলো উপজেলার যুগিডাঙ্গা ইসলামপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জিহাদ হোসেন (৩) এবং আবুল কালামের ভাই আবু তাহেরের ছেলে আরাফাত হোসেন (২)।

৫ আগস্ট জেলার মান্দা উপজেলার চককসবা বিলে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। তারা হলেন উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চকদেবীরাম গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬৫) ও রইছ উদ্দিন (৫৫)।

এরপর সবশেষ ৯ আগস্ট মান্দা উপজেলার ছোটবেলাদহ গ্রামে পুকুরে ডুবে আজিজা (৩) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়।
আজিজা ওই গ্রামের আকাশ হোসেনের মেয়ে।

একই দিনে মান্দায় বিলের পানিতে ডুবে স্কুলছাত্র আশিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পানিতে ডুবে জেলায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শিশু মৃত্যুর বিষয়ে নওগাঁ আদালতের আইনজীবী ডি এম আব্দুল বারী  জানান, পারিবারিক সচেতনতার অভাবে-

মূলত পানিতে ডুবে শিশুদের এমন অকাল মৃত্যু হচ্ছে। এজন্য মাসহ পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি আলাদা নজর বাড়াতে হবে।