আবহাওয়া ডেস্কঃ মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আর ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্র ও নদীবন্দরে দেখাতে বলা হয়েছে সতর্ক সংকেত।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। কোথাও কোথাও অতিভারী বর্ষণও হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত এমনই থাকবে।
এদিকে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত-
মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে-
দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর (পুনঃ) সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুধবার সকাল নাগাদ দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলছে- মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের-
উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। তাপমাত্রা ও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
রাজধানীতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৭ মিলিমিটার। আর সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তাড়াশে ১২২ মিলিমিটার। কক্সবাজারেও অতিভারী বর্ষণ হয়েছে।