ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনা পণ্য বর্জনের ডাক, বাদ যাচ্ছে না আইপিএলও

আইপিএল এর ট্রফি

ক্রীড়া ডেস্কঃ  গত সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনা সংঘর্ষ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। যা নিয়ে পুরো ভারতজুড়ে চলছে বিক্ষোভ।

চীনের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক বিচ্ছেদের কথা বলছেন অনেকে। যার জের ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে চীনা পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন।

কিন্তু চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিলেই যে বর্জন এত সহজ নয়! কেননা ভারতের অনেক কিছুতেই রয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন।

বিশেষ করে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলেই চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভিভো বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

ফলে প্রাথমিকভাবে চীনা পণ্য বর্জনের ডাকে ‘না’ করে দিয়েছিল আইপিএল। টুর্নামেন্ট আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল বলেছিলেন,-

‘চীনা কোম্পানির এই পৃষ্ঠপোষকতা ভারতীয় অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। এখানে বাস্তবতা ভিন্ন। চীনা কোম্পানির কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তো চীনা মানুষের কাজে লাগছে না, কাজে লাগছে ভারতীয় মানুষের।’

ধুমালের এমন মন্তব্যের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের অবস্থান বদলেছে আইপিএল আয়োজকরা। এবার জানিয়েছে, সীমান্তে সংঘর্ষের বিষয়টি মাথায় রেখে আইপিএলের সকল পৃষ্ঠপোষকদের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় বসবে তারা।

শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আইপিএলের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে দেয়া হয়েছে এই বার্তা।

যেখানে লেখা হয়েছে, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের ফলে আমাদের সাহসী সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় রেখে, আইপিএল আয়োজক কমিটি আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক ডেকেছে। যেখানে আইপিএলের বিভিন্ন স্পন্সর নিয়ে আলোচনা হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতে সপ্তাহ শুরু হয় সোমবার থেকে। অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে রোববারের মধ্যে যেকোনদিন আলোচনায় বসে চীনা পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইপিএল আয়োজক কমিটি।

যদিও চীনা পৃষ্ঠপোষক বর্জনের বিষয়ে কিছু বলেনি তারা। তবে এটি সহজেই বোঝা যায় যে, সীমান্তে হত্যার কারণে দেশজুড়ে যে চীনা পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন, সেটির কারণেই এ বৈঠকের ডাক দেয়া হয়েছে।

অবশ্য চাইলেই এত সহজে চীনা পৃষ্ঠপোষক বাদ দিতে পারবে না আইপিএল।

কেননা বর্তমানে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভিভোর সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। সে চুক্তির অংকটা ৩৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

শুধু ভিভোই নয়, আইপিএলে রয়েছে আরও চীনা পৃষ্ঠপোষক। খেলার সময় মাঠে আম্পায়ারদের জার্সি থাকে পেটিএম লোগো।

এ কোম্পানির মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হলো আলীবাবা, যেটি কি না চীনা প্রতিষ্ঠানই। গত ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পেটিএমের সঙ্গে চুক্তি করেছে আইপিএল।

 

ট্যাগস

চীনা পণ্য বর্জনের ডাক, বাদ যাচ্ছে না আইপিএলও

আপডেট সময় ০৮:২১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

ক্রীড়া ডেস্কঃ  গত সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনা সংঘর্ষ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। যা নিয়ে পুরো ভারতজুড়ে চলছে বিক্ষোভ।

চীনের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক বিচ্ছেদের কথা বলছেন অনেকে। যার জের ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে চীনা পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন।

কিন্তু চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিলেই যে বর্জন এত সহজ নয়! কেননা ভারতের অনেক কিছুতেই রয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন।

বিশেষ করে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলেই চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভিভো বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

ফলে প্রাথমিকভাবে চীনা পণ্য বর্জনের ডাকে ‘না’ করে দিয়েছিল আইপিএল। টুর্নামেন্ট আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল বলেছিলেন,-

‘চীনা কোম্পানির এই পৃষ্ঠপোষকতা ভারতীয় অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। এখানে বাস্তবতা ভিন্ন। চীনা কোম্পানির কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তো চীনা মানুষের কাজে লাগছে না, কাজে লাগছে ভারতীয় মানুষের।’

ধুমালের এমন মন্তব্যের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের অবস্থান বদলেছে আইপিএল আয়োজকরা। এবার জানিয়েছে, সীমান্তে সংঘর্ষের বিষয়টি মাথায় রেখে আইপিএলের সকল পৃষ্ঠপোষকদের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় বসবে তারা।

শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আইপিএলের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে দেয়া হয়েছে এই বার্তা।

যেখানে লেখা হয়েছে, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের ফলে আমাদের সাহসী সেনাদের মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় রেখে, আইপিএল আয়োজক কমিটি আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক ডেকেছে। যেখানে আইপিএলের বিভিন্ন স্পন্সর নিয়ে আলোচনা হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতে সপ্তাহ শুরু হয় সোমবার থেকে। অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে রোববারের মধ্যে যেকোনদিন আলোচনায় বসে চীনা পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইপিএল আয়োজক কমিটি।

যদিও চীনা পৃষ্ঠপোষক বর্জনের বিষয়ে কিছু বলেনি তারা। তবে এটি সহজেই বোঝা যায় যে, সীমান্তে হত্যার কারণে দেশজুড়ে যে চীনা পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন, সেটির কারণেই এ বৈঠকের ডাক দেয়া হয়েছে।

অবশ্য চাইলেই এত সহজে চীনা পৃষ্ঠপোষক বাদ দিতে পারবে না আইপিএল।

কেননা বর্তমানে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভিভোর সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। সে চুক্তির অংকটা ৩৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

শুধু ভিভোই নয়, আইপিএলে রয়েছে আরও চীনা পৃষ্ঠপোষক। খেলার সময় মাঠে আম্পায়ারদের জার্সি থাকে পেটিএম লোগো।

এ কোম্পানির মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হলো আলীবাবা, যেটি কি না চীনা প্রতিষ্ঠানই। গত ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পেটিএমের সঙ্গে চুক্তি করেছে আইপিএল।