ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণের চাপে আত্মহত্যা করলেন প্রবাসীর স্ত্রী

প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ    নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঋণ ও এনজিওর কিস্তি পরিশোধের চাপে আত্মহত্যা করেছেন তিন সন্তানের মা। নিপা আক্তার (৩১) নামে ওই নারী মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াদ আলীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রাদী গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে ওয়াদ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় নিপার। ৫ বছর আগে তার স্বামী জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান।

বর্তমানে সেখানে লকডাউন থাকায় গ্রাম থেকে বিদেশে অর্থ পাঠাতে হতো। পাশাপাশি সংসার খরচ, ঋণ এবং এনজিওর কিস্তিও নিপাকেই পরিশোধ করতে হতো।

গত কয়েকমাস ধরে কিস্তি ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চাপে পড়েন নিপা। সেই চাপ সামলাতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর আলী আজগর জানান, শুনেছি পাওনা টাকা ও সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে পারেন।

গোপালদী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন জানান, ঋণের চাপে ও কিস্তি পরিশোধ করতে না পারার পাশাপাশি পরিবারের খরচ চালাতে-

হিমশিম খেয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে দুপুরে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ঋণের চাপে আত্মহত্যা করলেন প্রবাসীর স্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:১২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ    নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঋণ ও এনজিওর কিস্তি পরিশোধের চাপে আত্মহত্যা করেছেন তিন সন্তানের মা। নিপা আক্তার (৩১) নামে ওই নারী মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াদ আলীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রাদী গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে ওয়াদ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় নিপার। ৫ বছর আগে তার স্বামী জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান।

বর্তমানে সেখানে লকডাউন থাকায় গ্রাম থেকে বিদেশে অর্থ পাঠাতে হতো। পাশাপাশি সংসার খরচ, ঋণ এবং এনজিওর কিস্তিও নিপাকেই পরিশোধ করতে হতো।

গত কয়েকমাস ধরে কিস্তি ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চাপে পড়েন নিপা। সেই চাপ সামলাতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর আলী আজগর জানান, শুনেছি পাওনা টাকা ও সমিতির কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে পারেন।

গোপালদী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন জানান, ঋণের চাপে ও কিস্তি পরিশোধ করতে না পারার পাশাপাশি পরিবারের খরচ চালাতে-

হিমশিম খেয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে দুপুরে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।