ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্ডিয়ান সিনেমা বনাম মাদক বাংলাদেশ, মৃত্যু-২২জন

প্রতীকী ছবি

আব্দুর রহিম মিঠনঃ  মাদক ছাড়া ইন্ডিয়ান সিনেমার কল্পনা করা যায় না। ভয়াল ছোবলে মৃত্যু ২২ জন (বিভিন্ন সময়)। রংপুরে ১০ জন, নোয়াখালিতে ৬ জন,পাবনায় গৃহবধুসহ ২, বগুড়ায় ২ জন, নারায়ণগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু।

মোট ২২ জন। নিহতদের ২জন নারীসহ অধিকাংশের বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে। প্রতিটি অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতি হতে চলছে মাদক।

এ ভয়াল আগ্রাসন যেন থামবার নয়। মাদকের এই বিশাক্ত ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার ব্যবস্থা। ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্কের দেয়াল। এ কাল থাবা কেড়ে নিচ্ছে তরুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। বিবাহ অনুষ্ঠানে মদপান ট্রাডিশন হতে চলছে।

সমাজে অনৈক্য বিশৃঙ্খলা শুরু হতে যাচ্ছে। অবৈধ প্রেম ভালবাসার প্রাচিরে ফাটল আর সামান্য অভিমান ও আনন্দের অতিশয্যে জায়গা করে নিচ্ছে মাদক।

আজ শুধু শহর নয় শুধু গ্রামও নয় প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ছে এর ভয়াল থাবা। জানিনা! সহজলভ্য পন্যতে পরিনত হচ্ছে।

মাদক ব্যবসাও অনেকে পেশা বানিয়ে নিচ্ছে। ধর্মীয় অনুশাসনেরতো কল্পনায় করা যায় না। এ প্রজন্ম কি এভাবেই হারিয়ে যাবে তাদের বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে।

মাটির নিচে কল্পনার জগতে চাপা পড়বে তাদের ভবিশ্যৎ। আকাশ ছোঁয়া সাংস্কৃতি কি আমাদের সেই মুক্তির দোয়ার খুলে দেবে? যা অর্জন করতে হয়েছে শাহাদতের পবিত্র রক্ত, শ্রম মেধা যোগ্যতা আর বুক ভরা আশা নিয়ে।

আমরা চাইনা আর এই পবিত্র রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা, চাইনা প্রজন্মের ধ্বংস, সভ্যতার সুন্দরের পতন, ভোগ বিলাসিতার খেলায় সুন্দর স্বপ্ন গুলো, ধর্মীয় শৃঙ্খল ভেঙ্গে পরকাল নষ্ট করতে।

আপনার পরিবার-সন্তানকে বাঁচান টিভি সিরিয়াল হতে। যেখানে পরকীয়ারমত জঘন্য অপরাধ, সমকামিতা, অবৈধ প্রেম ভালবাসা, নষ্টাচার, মিথ্যাচার, ভন্ডামি, কপটতা এছাড়া আর কি বা আছে?

এ ভয়াল থাবায় আশক্তদের এমনকি মৃতদের শেষ ঠিকানা কি হবে দুনিয়ায়- পরকালে???
আপনার পরিবার, সন্তান এমনকি আপনিও এ ভয়াল আগ্রাসনের স্বীকার হতে যাচ্ছেন!

মহান মাবুদ আমাদের কর্তব্যবোধ, মানবিকতা ও পবিত্রতম ভালবাসার সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মানে এগিয়ে আসার তৌফিক দিন।

 

ট্যাগস

ইন্ডিয়ান সিনেমা বনাম মাদক বাংলাদেশ, মৃত্যু-২২জন

আপডেট সময় ০২:১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

আব্দুর রহিম মিঠনঃ  মাদক ছাড়া ইন্ডিয়ান সিনেমার কল্পনা করা যায় না। ভয়াল ছোবলে মৃত্যু ২২ জন (বিভিন্ন সময়)। রংপুরে ১০ জন, নোয়াখালিতে ৬ জন,পাবনায় গৃহবধুসহ ২, বগুড়ায় ২ জন, নারায়ণগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু।

মোট ২২ জন। নিহতদের ২জন নারীসহ অধিকাংশের বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে। প্রতিটি অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতি হতে চলছে মাদক।

এ ভয়াল আগ্রাসন যেন থামবার নয়। মাদকের এই বিশাক্ত ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার ব্যবস্থা। ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্কের দেয়াল। এ কাল থাবা কেড়ে নিচ্ছে তরুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। বিবাহ অনুষ্ঠানে মদপান ট্রাডিশন হতে চলছে।

সমাজে অনৈক্য বিশৃঙ্খলা শুরু হতে যাচ্ছে। অবৈধ প্রেম ভালবাসার প্রাচিরে ফাটল আর সামান্য অভিমান ও আনন্দের অতিশয্যে জায়গা করে নিচ্ছে মাদক।

আজ শুধু শহর নয় শুধু গ্রামও নয় প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ছে এর ভয়াল থাবা। জানিনা! সহজলভ্য পন্যতে পরিনত হচ্ছে।

মাদক ব্যবসাও অনেকে পেশা বানিয়ে নিচ্ছে। ধর্মীয় অনুশাসনেরতো কল্পনায় করা যায় না। এ প্রজন্ম কি এভাবেই হারিয়ে যাবে তাদের বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে।

মাটির নিচে কল্পনার জগতে চাপা পড়বে তাদের ভবিশ্যৎ। আকাশ ছোঁয়া সাংস্কৃতি কি আমাদের সেই মুক্তির দোয়ার খুলে দেবে? যা অর্জন করতে হয়েছে শাহাদতের পবিত্র রক্ত, শ্রম মেধা যোগ্যতা আর বুক ভরা আশা নিয়ে।

আমরা চাইনা আর এই পবিত্র রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা, চাইনা প্রজন্মের ধ্বংস, সভ্যতার সুন্দরের পতন, ভোগ বিলাসিতার খেলায় সুন্দর স্বপ্ন গুলো, ধর্মীয় শৃঙ্খল ভেঙ্গে পরকাল নষ্ট করতে।

আপনার পরিবার-সন্তানকে বাঁচান টিভি সিরিয়াল হতে। যেখানে পরকীয়ারমত জঘন্য অপরাধ, সমকামিতা, অবৈধ প্রেম ভালবাসা, নষ্টাচার, মিথ্যাচার, ভন্ডামি, কপটতা এছাড়া আর কি বা আছে?

এ ভয়াল থাবায় আশক্তদের এমনকি মৃতদের শেষ ঠিকানা কি হবে দুনিয়ায়- পরকালে???
আপনার পরিবার, সন্তান এমনকি আপনিও এ ভয়াল আগ্রাসনের স্বীকার হতে যাচ্ছেন!

মহান মাবুদ আমাদের কর্তব্যবোধ, মানবিকতা ও পবিত্রতম ভালবাসার সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মানে এগিয়ে আসার তৌফিক দিন।