রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ১২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে বিভিন্ন কারাগার থেকে পৃথক প্রিজনভ্যানে আলোচিত দুটি মামলার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট, সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরে তাদের মরদেহ একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এই নৃশংস ঘটনাটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলায় রূপ নেয়। এ মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর গত ২ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এছাড়া গ্রেফতার চার আসামিকে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
গত ১০ জুলাই আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আগে ২৬ আসামিকে গ্রেফতার করতে এবং আসামিদের আদালতে উপস্থিত করার জন্য (গণমাধ্যমে) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মামলার ৩০ আসামির মধ্যে পলাতক ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদ।
তাজুল ইসলাম বলেন, মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তারা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।