ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রাম সীমান্তে নারীকে মারধর করে বাংলাদেশে পুশ ইন করলো বিএসএফ

কুড়িগ্রাম সীমান্তে নারী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশে পুশ ইন করার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফ’র বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার কেদার ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সকাল ৯টার দিকে ৪৮নং গেট খুলে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়।

এসময় ওই নারী আসতে না চাইলে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯ এর সাব পিলার ৩ এর কাছ দিয়ে বিএসএসএফ সদস্যরা তাকে মারধর করে পার করে দেয়।

বিষয়টি টের পেয়ে সীমান্তে কাজ করা কৃষক এবং স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং বিজিবিকে খবর দেয়।

এসময় ওই নারী কাঁটাতারের বাইরে ভারতের ১০০ গজ অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বিজিবি এসে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে কয়েক ঘণ্টা পর পতাকা বৈঠকের সারা দেয় বিএসএফ।

পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ কেদার ক্যাম্পের এসি ধর্মেন্দ্র রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আবদুস সবুর।

আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯ এর সাব পিলার ৩ এর শূন্য রেখায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ওই নারীকে বাংলাদেশি বলে দাবি করে বিএসএফ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আব্দুস সবুর বলেন, তথ্য যাচাই হচ্ছে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।

 

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে নারীকে মারধর করে বাংলাদেশে পুশ ইন করলো বিএসএফ

আপডেট সময় ০৫:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশে পুশ ইন করার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফ’র বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার কেদার ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সকাল ৯টার দিকে ৪৮নং গেট খুলে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়।

এসময় ওই নারী আসতে না চাইলে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯ এর সাব পিলার ৩ এর কাছ দিয়ে বিএসএসএফ সদস্যরা তাকে মারধর করে পার করে দেয়।

বিষয়টি টের পেয়ে সীমান্তে কাজ করা কৃষক এবং স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং বিজিবিকে খবর দেয়।

এসময় ওই নারী কাঁটাতারের বাইরে ভারতের ১০০ গজ অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বিজিবি এসে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে কয়েক ঘণ্টা পর পতাকা বৈঠকের সারা দেয় বিএসএফ।

পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ কেদার ক্যাম্পের এসি ধর্মেন্দ্র রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আবদুস সবুর।

আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯ এর সাব পিলার ৩ এর শূন্য রেখায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ওই নারীকে বাংলাদেশি বলে দাবি করে বিএসএফ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আব্দুস সবুর বলেন, তথ্য যাচাই হচ্ছে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে।