ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুপুরে মামাতো ভাইকে খুন, রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ   ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আপন মামাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সুজন (২৬) নামে এক যুবক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৭ মে) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ভেলানগর এলাকার একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সুজন হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন।

এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিজের আপন মামাতো ভাই বাবু মিয়াকে (২৭) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন সুজন ও তার সহযোগীরা।

নিহত বাবু জগন্নাথপুর গ্রামের গৌরি হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত সুজনকে আটক করে।

ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সুজনের দেয়া তথ্য মতে তার বাকি সহযোগীদের ধরতে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের জন্য রাতে তাকে নিয়ে ভেলানগর গ্রামের একটি বাগানে যায় পুলিশ।

সেখানে সুজনের সহযোগীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

এ সময় সুজন পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে সুজনের সহযোগীদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও কার্তুজের ব্যবহৃত চারটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

ট্যাগস

দুপুরে মামাতো ভাইকে খুন, রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

আপডেট সময় ১০:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ   ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আপন মামাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সুজন (২৬) নামে এক যুবক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৭ মে) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ভেলানগর এলাকার একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সুজন হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন।

এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিজের আপন মামাতো ভাই বাবু মিয়াকে (২৭) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন সুজন ও তার সহযোগীরা।

নিহত বাবু জগন্নাথপুর গ্রামের গৌরি হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত সুজনকে আটক করে।

ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সুজনের দেয়া তথ্য মতে তার বাকি সহযোগীদের ধরতে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের জন্য রাতে তাকে নিয়ে ভেলানগর গ্রামের একটি বাগানে যায় পুলিশ।

সেখানে সুজনের সহযোগীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

এ সময় সুজন পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে সুজনের সহযোগীদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও কার্তুজের ব্যবহৃত চারটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।