ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রাইস্টচার্চের হামলায় আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম তাইজুলের কারণে : তামিম

হামলার সময় বাস থেকে নেমে নিরাপদে হোটেলে ফিরছেন তামিম, তাইজুল, মিরাজ ও সৌম্য

ক্রীড়া ডেস্কঃ  ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটো মসজিদে এক বন্দুকধারীর হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে ফেরেন বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

কিউই সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দুই-তিন মিনিটের হের-ফের হলেই সেদিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতেন। এ প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, তাইজুল ইসলামের জন্যই সেদিন বেঁচে গিয়েছে দলের ক্রিকেটাররা।

শনিবার (১৬ মে) রাতে লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হকের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় তামিম একথা জানিয়েছেন।

ঘটনার দিন শুক্রবার, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল ক্রাইস্টচার্চ স্টেডিয়ামে। সেখানেই মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ফুটবল খেলায় মজেছিলেন তাইজুল। যেখানে খেলা নিয়ে মজা করার কারণে মসজিদে উদ্দেশ্যে যেতে দেরি হয়।

তামিম বলেন, ‘তাইজুল নিউজিল্যান্ডে যদি সেই সময় না থাকতো আর খেলার (ফুটবল) সে সময় দুষ্টামিটা না করতো তাহলে আমরা কেউই কিন্তু এখানে বেঁচে থাকতাম না।

একমাত্র লিটন দাস হোটেলে ছিল, বেঁচে থাকতো। তাইজুলের স্পেশালিটি হলো, সে কোনোভাবেই হার মানতে চায় না। ওই সময় আমরা যদি দুই-মিনিট আগেও মজজিদে পৌঁছাতাম আমরাও ওই হামলার মধ্যে পড়ে যেতাম।

তাইজুল মুশফিকের সাথে ওয়ান-টু-ওয়ান ফুটবল প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন। ওখানেই আমাদের তিন-চার মিনিট দেরি হয়ে যায়। তাইজুল যদি না থাকতো আমরা কেউ বেঁচে থাকতাম না।’

 

ট্যাগস

ক্রাইস্টচার্চের হামলায় আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম তাইজুলের কারণে : তামিম

আপডেট সময় ০৪:৫০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মে ২০২০

ক্রীড়া ডেস্কঃ  ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটো মসজিদে এক বন্দুকধারীর হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে ফেরেন বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

কিউই সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দুই-তিন মিনিটের হের-ফের হলেই সেদিন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতেন। এ প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, তাইজুল ইসলামের জন্যই সেদিন বেঁচে গিয়েছে দলের ক্রিকেটাররা।

শনিবার (১৬ মে) রাতে লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হকের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় তামিম একথা জানিয়েছেন।

ঘটনার দিন শুক্রবার, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল ক্রাইস্টচার্চ স্টেডিয়ামে। সেখানেই মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ফুটবল খেলায় মজেছিলেন তাইজুল। যেখানে খেলা নিয়ে মজা করার কারণে মসজিদে উদ্দেশ্যে যেতে দেরি হয়।

তামিম বলেন, ‘তাইজুল নিউজিল্যান্ডে যদি সেই সময় না থাকতো আর খেলার (ফুটবল) সে সময় দুষ্টামিটা না করতো তাহলে আমরা কেউই কিন্তু এখানে বেঁচে থাকতাম না।

একমাত্র লিটন দাস হোটেলে ছিল, বেঁচে থাকতো। তাইজুলের স্পেশালিটি হলো, সে কোনোভাবেই হার মানতে চায় না। ওই সময় আমরা যদি দুই-মিনিট আগেও মজজিদে পৌঁছাতাম আমরাও ওই হামলার মধ্যে পড়ে যেতাম।

তাইজুল মুশফিকের সাথে ওয়ান-টু-ওয়ান ফুটবল প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন। ওখানেই আমাদের তিন-চার মিনিট দেরি হয়ে যায়। তাইজুল যদি না থাকতো আমরা কেউ বেঁচে থাকতাম না।’