অর্থনীতি ডেস্কঃ এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিলগেট থেকে চাল প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়ায় মোকামে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালে কমেছে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা।
কুষ্টিয়া, নওগাঁ ও দিনাজপুরের চালের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২১শ টাকায়। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৭শ’ টাকায়। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, বস্তায় দাম কমেছে ৬০০ টাকা।
এছাড়া প্রতিবস্তা নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ২৪৫০ টাকা। যা ১৩ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২৬৫০ টাকায়। সেক্ষেত্রে নাজিরশাল চালে বস্তায় কমেছে ২শ’ টাকা।
বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৮শ’ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২১শ’ টাকা। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ১৭৫০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার টাকা।
রাজধানী সর্ব বৃহৎ চালের পাইকারি আড়ত বাদামতলী ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা।
যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়। প্রতিকেজি নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। যা ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নতুন ধান আসায় মোকামে সব ধরনের চালের দাম কমেছে।
এ কারণে পাইকারিতেও চালের দাম কমছে। তবে আর কয়েকদিন পর পুরোপুরি ধান কাটা হলে চালের দাম আরও কমে আসবে। তিনি জানান, করোনার এ সময় বাজারে চালের কোনো সংকট নেই।