স্টাফ রিপোর্টারঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে রহিমা বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সায়মানারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা সায়মানারচর গ্রামের কৃষক আকবর মোল্যার স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী আকবর মোল্যাকে বাড়ির পাশে বেঁধে রেখে তার স্ত্রী রহিমাকে উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় তা পুলিশকে স্পষ্ট করেননি আকবর মোল্যা। এ সময় বাড়িতে আকবর মোল্যা, তার স্ত্রী রহিমা, এক ছেলে (১৫) ও দুই নাতনি ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বুলবুল মাস্টার ও মুছা মেম্বারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নিহত রহিমা বুলবুল মাস্টারের লোক বলে জানা গেছে। প্রতিপক্ষ মুছা মেম্বারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রহিমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহতের মুখের বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে কে বা কারা হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।