স্টাফ রিপোর্টারঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক নারীর নামে পরিচালিত অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশের নামে গুজব ছড়ানোয় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার দুইজন হলেন- মামুন হোসাইন রুবেল ও শাহপরান আলম খান রাব্বী।শুক্রবার (০১ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল ভোর ৪ টার দিকে ফেসবুকে ‘Jarine Afrine Ruma’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়, ‘ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন’।
পোস্টটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার টিম। তদন্তের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ‘Jarine Afrine Ruma’ নামের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তড়িঘড়ি করে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পোস্টে উল্লেখ করা হয়, করোনা ভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের চমলান মানবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং গুজব রটানোর উদ্দেশ্যে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্ররোচনায় তিনি প্রথম পোস্টটি করেছিলেন।
ওসির বিরুদ্ধে তিনি পূর্বে যে পোস্ট দিয়েছেন, আসলে তেমন কোনো ঘটনা-ই ঘটেনি। যে তরুণীর ধর্ষিত হওয়ার কথা তিনি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি তাকে চিনেন না বা ওই নামে আদৌ কেউ রয়েছেন বলে তার জানা নেই।
স্থানীয় ওই ব্যক্তির প্ররোচনায় ইন্টারনেট থেকে তিনি অচেনা একটি মেয়ের ছবি ডাউনলোড করে পোস্টে জুড়ে দিয়েছেন। গুজব রটানোর কারণে তিনি লজ্জিত উল্লেখ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়ানোয় অভিযান চালিয়ে ‘Jarine Afrine Ruma’ নামের অ্যাকাউন্টটির প্রকৃত ব্যবহারকারীসহ ওই দুইজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এআইজি সোহেল রানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য কিংবা গুজব ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এছাড়া, গুজবের মাধ্যমে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে বিতর্কিত করে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুনাম নষ্ট করা হয়েছে। করোনাকালের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে জনগণের জন্য পুলিশের সেবাধর্মী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করারও প্রয়াস এটি।
যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনা ও সঠিক অভিযোগের ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কখনো কার্পণ্য করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।
এর পাশাপাশি, গুজব রটিয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা বা জনস্বার্থবিরোধী যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে পুলিশের কঠোর আইনি অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।