স্টাফ রিপোর্টারঃ বেশি দামে নকল এন-৯৫ মাস্ক বিক্রয়কারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে এবার উদ্ধার হলো করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ জীবাণু শনাক্তকারী কিট।
অভিযান পরিচালনায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারিভাবে করোনা শনাক্তকারী কোনো কিট বৈধভাবে বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। সরকারি হাসপাতাল ছাড়া কারো কাছে থাকার কথা নয়।
তবে অ্যাডভান্স বায়ো ক্যামিকেল (এবিসি) নামে একটি প্রতিষ্ঠান তা এনে তাদের কার্যালয়ে মজুদ করেছিল। যার বৈধ কোনো কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। এছাড়াও করোনা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এন-৯৫ বলে নকল মাস্ক কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় করোনা পরিস্থিতিতে অহেতুক সড়কে ঘোরাফেরা রোধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা অঞ্চলের সহায়তায় রাজধানীর বাংলামোটরে অভিযান চালায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঢাকা জেলা প্রসাশনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। সে সময় পিপিই, মাস্ক, সেফটি গ্ল্যাভসসহ বিপুল পরিমাণ সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ওই অফিসে মজুদ করে রাখা হয়েছে দেখতে পাওয়া যায়। যার বৈধ কোনো কাগজ তারা দেখাতে পারেনি।
এছাড়াও চীন থেকে আনা করোনা পরীক্ষার কিট সেখানে পাওয়া গেছে, যা শুধু সরকারি হাসপাতালেই থাকার কথা। ডিএমপি রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শেখ মোহাম্মদ শামীম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাই আমরা। মাস্ক উদ্ধার করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে করোনা পরীক্ষার কিট।
যে বিষয়টি আমাদের অবাক করেছে। এছাড়াও সেখানে এন-৯৫ লেখা অনেকগুলো মাস্কের খালি প্যাকেট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নকল মাস্কগুলো এসব ব্যাগে ভরে বিক্রি করছিল তারা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী মজুদ করেছিল বেশি দামে বিক্রির জন্য।
সূত্রঃবিডি-প্রতিদিন