স্টাফ রিপোর্টারঃ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৫ মার্চ) সংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশের কোনো পরিবর্তন হবে না। তাই বিএনপিকে ইতিবাচকভাবে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির আবেদন করায় এবং বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়েই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই তিনি মুক্তি পাবেন। মুক্তিতে দেরি হওয়ার কোনো কারণ নেই।\
সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে করোনা ভাইরাসের এ সঙ্কটকালে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার সঙ্গে বিএনপিকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই বেগম খালেদা জিয়ার ৬ মাসের মুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে গুলশানের নিজ বাসভবনে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায় দুই শর্তে দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হোক। সরকার মানবিক কারণে সদয় হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা (উপধারা-১) অনুযায়ী এটা আইনি প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে গমন না করার শর্তে প্রধানমন্ত্রীর আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।