ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হবে, তার মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটা নতুন শাসনতান্ত্রিক কাঠামো পাবে। এই আকাঙ্ক্ষা যদি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ না হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো মানে থাকে না।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। যদি সরকার সামনে নতুন সংবিধান ও জুলাই সনদের বিষয় অপরিপূর্ণ রাখে এবং তা বাস্তবায়ন না করে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এনসিপির সংশয়ের জায়গা রয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি কিংবা তার আগেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু সেই নির্বাচনের ধরনটা কী রকম হবে, সেটা জাতির কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। আমি যদি বিদ্যমান সংবিধানকে বহাল তবিয়তে রেখে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, তাহলে ওই সংবিধানের মধ্য দিয়ে এদেশে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণেই আমাদের দাবি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে। নতুন সংবিধানের বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি সামনের নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তাহলে এনসিপি যেকোনো সময় সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত।

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, সেগুলো কেবল সংসদ নির্বাচন করার কথা বলছে। সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো পরের সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে কিনা– তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ কারণেই আমরা নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়েছে। সরকার একটা গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে একটা নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন প্রমুখ।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

নতুন সংবিধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি

আপডেট সময় ০৭:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হবে, তার মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটা নতুন শাসনতান্ত্রিক কাঠামো পাবে। এই আকাঙ্ক্ষা যদি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ না হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো মানে থাকে না।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। যদি সরকার সামনে নতুন সংবিধান ও জুলাই সনদের বিষয় অপরিপূর্ণ রাখে এবং তা বাস্তবায়ন না করে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এনসিপির সংশয়ের জায়গা রয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি কিংবা তার আগেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু সেই নির্বাচনের ধরনটা কী রকম হবে, সেটা জাতির কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। আমি যদি বিদ্যমান সংবিধানকে বহাল তবিয়তে রেখে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, তাহলে ওই সংবিধানের মধ্য দিয়ে এদেশে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণেই আমাদের দাবি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে। নতুন সংবিধানের বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি সামনের নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তাহলে এনসিপি যেকোনো সময় সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত।

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, সেগুলো কেবল সংসদ নির্বাচন করার কথা বলছে। সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো পরের সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হলে, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে কিনা– তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ কারণেই আমরা নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়েছে। সরকার একটা গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে একটা নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন প্রমুখ।