ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া ও চীন!

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে যৌথভাবে কাজ করছে রাশিয়া ও চীন। ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই দুই দেশ সম্প্রতি একটি সমঝোতাপত্রে সই করেছে। এতে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’ এবং চীনের ‘ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CNSA)’ একসঙ্গে কাজ করছে।

চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায় ‘আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (ILRS)’ নির্মাণের অংশ হিসেবে পরমাণু কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হবে। যদিও এটি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, চাঁদের জ্বালানি ও জলসম্পদ ঘিরে চলমান প্রতিযোগিতায় এ পদক্ষেপ আমেরিকাকে চাপের মুখে ফেলতে পারে। নাসার কিছু চন্দ্র প্রকল্প বিলম্বের শিকার হওয়ায় রাশিয়া-চীন জোট এখন এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, এর আগেও রাশিয়া ও চীন মহাকাশে যৌথ মিশন পরিচালনা করেছে, যদিও কিছু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে এবার তারা বড় পরিসরে চাঁদের দীর্ঘমেয়াদি দখল ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে অগ্রসর হচ্ছে। এতে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে আরও কয়েকটি দেশ।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে চাঁদের দক্ষিণ মেরু হয়ে উঠতে পারে বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া ও চীন!

আপডেট সময় ১১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে যৌথভাবে কাজ করছে রাশিয়া ও চীন। ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই দুই দেশ সম্প্রতি একটি সমঝোতাপত্রে সই করেছে। এতে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা ‘রসকসমস’ এবং চীনের ‘ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (CNSA)’ একসঙ্গে কাজ করছে।

চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায় ‘আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (ILRS)’ নির্মাণের অংশ হিসেবে পরমাণু কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হবে। যদিও এটি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, চাঁদের জ্বালানি ও জলসম্পদ ঘিরে চলমান প্রতিযোগিতায় এ পদক্ষেপ আমেরিকাকে চাপের মুখে ফেলতে পারে। নাসার কিছু চন্দ্র প্রকল্প বিলম্বের শিকার হওয়ায় রাশিয়া-চীন জোট এখন এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, এর আগেও রাশিয়া ও চীন মহাকাশে যৌথ মিশন পরিচালনা করেছে, যদিও কিছু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে এবার তারা বড় পরিসরে চাঁদের দীর্ঘমেয়াদি দখল ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে অগ্রসর হচ্ছে। এতে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে আরও কয়েকটি দেশ।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে চাঁদের দক্ষিণ মেরু হয়ে উঠতে পারে বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471