জুলাই আন্দোলন-কেন্দ্রিক রাজধানীর তিন থানায় দায়ের হওয়া পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের আদালতে হাজির করে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। তবে আনিসুল ও সালমানের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক সালমান, চৌধুরী মামুনের তিন দিনের ও আনিসুলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সালমান এফ রহমানের মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ২০ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই পারভেজ ফরাজী গত ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।
আর আনিসুল হকের মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। এদিন সন্ধ্যায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা।
মামুনের মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. রাসেল। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনিও।
গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে সদরঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।