ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাহক কমেছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে

বি এনপি- জামায়াতের ডাকা  ৩ দিনের অবরোধের পথম দিন আজ । এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থনে অগ্নি সংযোগ চালিয়েছে তারা রাস্তা ঘাটে কমেছে  যনবাহন সহ লোকজনের সংখ্যা। আর এর সাথে গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অবরোধের কারনে ভীতি কাজ করছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই ব্যাংকমুখী মানুষের ভিড় তেমন দেখা যায়নি। রাজধানীর ফকিরাপুল, আরামবাগ, শাপলাচত্ত্বর, ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা ও বক চত্বর এলাকার ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ সেবা কাউন্টার ফাঁকা। অনেক ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি থাকলেও তা ছিল হাতে গোনা।

সকাল পৌনে ১১টার দিকে একটি সরকারি ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ সেবা কাউন্টারে কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও গ্রাহক ছিল না। এতে অনেকটা অলস সময় কাটাতে দেখা যায় তাদের। এ নিয়ে কথা বললে ব্যাংকটির একজন ঊদ্ধতন কর্মকর্তা জানান, ‘হরতাল-অবরোধের কারনে সাধারণ মানুষ কম বের হয়েছেন। জরুরী প্রয়োজন না হলে সাধারণত কেউ বের হতে চান না। ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। তবে দুপুরের পর গ্রাহক বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।’

অন্যান্য বেসরকারি ব্যংক ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। তবে দু’একটি বেসরকারি ব্যাংকে কিছু গ্র্রাহক চোখে পড়লেও তাদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় একেবারেই কম। এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ‘গ্রাহকের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে গ্রাহক আরও কমে যাবে। তবে পরিস্থিতি ভালো হবে আশা করছি, কারন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে।’

সড়কে নেই আগের মতো পথচারীদের ভীড়। যারা চলাচল করছেন তাদের বেশিরভাগই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস চলছে। সকল ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।

মতিঝিল এলাকায় গণপরিবহনের তেমন দেখা নেই। মাঝে মাঝে বিভিন্ন বাস কোম্পানির দু’একটি বাসের দেখা মিলছে। তবে রিকশার আধিপত্য বেড়েছে। যাত্রী কম পেলেও রিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন চালকরা। তবে ফুটপাতের বেশ কিছু দোকান খোলা রয়েছে। যদিও সেখানে বিক্রি নেই বললেই চলে।

এদিকে অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতার রোধে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সরকার। বিভিন্ন সড়কের মূল পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতার চেষ্টা কিংবা নাশকতা যাই হোক তাকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ড থেকে।

হরতালের পর নতুন কর্মসূচি হিসেবে তিনদিনের অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সরকারবিরোধী অন্যান্য দলগুলোও এ অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে। প্রায় আট বছর পর আজ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশজুড়ে টানা ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ পালন করছে দলগুলো।

গ্রাহক কমেছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে

আপডেট সময় ০১:২১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বি এনপি- জামায়াতের ডাকা  ৩ দিনের অবরোধের পথম দিন আজ । এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থনে অগ্নি সংযোগ চালিয়েছে তারা রাস্তা ঘাটে কমেছে  যনবাহন সহ লোকজনের সংখ্যা। আর এর সাথে গ্রাহকের সংখ্যা কমেছে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অবরোধের কারনে ভীতি কাজ করছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই ব্যাংকমুখী মানুষের ভিড় তেমন দেখা যায়নি। রাজধানীর ফকিরাপুল, আরামবাগ, শাপলাচত্ত্বর, ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা ও বক চত্বর এলাকার ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ সেবা কাউন্টার ফাঁকা। অনেক ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি থাকলেও তা ছিল হাতে গোনা।

সকাল পৌনে ১১টার দিকে একটি সরকারি ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ সেবা কাউন্টারে কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও গ্রাহক ছিল না। এতে অনেকটা অলস সময় কাটাতে দেখা যায় তাদের। এ নিয়ে কথা বললে ব্যাংকটির একজন ঊদ্ধতন কর্মকর্তা জানান, ‘হরতাল-অবরোধের কারনে সাধারণ মানুষ কম বের হয়েছেন। জরুরী প্রয়োজন না হলে সাধারণত কেউ বের হতে চান না। ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। তবে দুপুরের পর গ্রাহক বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।’

অন্যান্য বেসরকারি ব্যংক ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। তবে দু’একটি বেসরকারি ব্যাংকে কিছু গ্র্রাহক চোখে পড়লেও তাদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় একেবারেই কম। এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ‘গ্রাহকের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে গ্রাহক আরও কমে যাবে। তবে পরিস্থিতি ভালো হবে আশা করছি, কারন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে।’

সড়কে নেই আগের মতো পথচারীদের ভীড়। যারা চলাচল করছেন তাদের বেশিরভাগই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস চলছে। সকল ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।

মতিঝিল এলাকায় গণপরিবহনের তেমন দেখা নেই। মাঝে মাঝে বিভিন্ন বাস কোম্পানির দু’একটি বাসের দেখা মিলছে। তবে রিকশার আধিপত্য বেড়েছে। যাত্রী কম পেলেও রিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন চালকরা। তবে ফুটপাতের বেশ কিছু দোকান খোলা রয়েছে। যদিও সেখানে বিক্রি নেই বললেই চলে।

এদিকে অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতার রোধে নিরাপত্তা জোরদার করেছে সরকার। বিভিন্ন সড়কের মূল পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতার চেষ্টা কিংবা নাশকতা যাই হোক তাকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ড থেকে।

হরতালের পর নতুন কর্মসূচি হিসেবে তিনদিনের অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সরকারবিরোধী অন্যান্য দলগুলোও এ অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে। প্রায় আট বছর পর আজ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশজুড়ে টানা ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ পালন করছে দলগুলো।