চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচার সরকার পতনে ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের অভিমুখে রোডমার্চ হবে। সকল রোডমার্চ শেষে এ রোডমার্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। আগামী ৫ অক্টোবর রোডমার্চকে সফল করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে দুর্গত দেশে পরিণত করবেন না। যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে দেশের মানুষ আর খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারবেনা। তাই দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় কিভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা দেশের মানুষ ভালোভাবে জানে। এ অক্টোবর মাস আন্দোলনের মাস এবং গণতন্ত্রের বিজয়ের মাস। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে গণতন্ত্র সবসময় জয়লাভ করেছে এবং ফ্যাসিবাদ তথা স্বৈরাচারের সবসময় পতন হয়েছে। এই স্বৈরাচার সরকারেরও পতন হবে এবং গণতন্ত্রকামী জনতার বিজয় হবে। আগামী ৫ই অক্টোবর রোডমার্চের মধ্য দিয়ে সেটি প্রমাণিত হবে। ‘
২ অক্টোবর (সোমবার) বিকেলে আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এটি পরিবর্তনের রোডমার্চ। যে মাফিয়া সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের উপর চেপে বসে আছে তাদের হঠিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই এ রোডমার্চ। তাই জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে, জাতির প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এ রোডমার্চের গুরুত্ব অপরীহার্য। চট্টগ্রামের মানুষ সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্নভাবে এ রোডমার্চ সফল করবে।প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামী ৫ অক্টোবরের রোডমার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে লড়াই শুরু হয়েছে তা ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই নয়। এ লড়াই হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। অতএব এই লড়াইয়ে জিততেই হবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথর বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, শহিদুল্লাহ বাহার, সিরাজ উদ্দিন, খাইরুল আলম দিপু, সেলিম রেজা, হারুন আল রশীদ, মাইনুদ্দিন রাশেদ, এন আই চৌধুরী মাসুম, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মূর্তজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন রকি, জহিরুল হক টুটুল, এম আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক এফ কে মুন্না, তারেক আহমেদ, আব্দুল হাই, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এমএ হানিফ, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, কামাল হোসেন সামির, জাকির হোসেন, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মান্নান, মো. হাসান, নুহ গাজী সেলিম, মাহাবুব খালেদ, তাজুল ইসলাম নয়ন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, নাছির হোসেন, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, শাহজাহান বাদশা প্রমুখ।