ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনের ফাঁকফোকরে ৬৩ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে

লিবিয়ায় পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে ২০২০ সালের ২৮ মে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) রেড নোটিসে ছয়জনের নাম প্রকাশ পায়। তাদেরই একজন কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবালকে ইতালিতে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ।

২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি, ঢাকা) চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিবি, রোম।

পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জাফরকে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ ৪০ দিন লাগতে পারে। তবে সেই আসামিকে আজও ফিরিয়ে দেয়নি ইতালি সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের মানব পাচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।

বাংলাদেশের একসময়ের ভয়ংকর সেভেন স্টার গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানভীর ইসলাম জয়। ২০০৭ সালে কলকাতার বাগুইআটির চিনার পার্কের একটি বাসা থেকে জয়কে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। এর মাত্র দুই বছর আগে ২০০৫ সালে কয়েক ডজন খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন এই জয়ের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। জয়কে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকার চিঠিও দেয় ভারত সরকারকে। উল্টো ভারতীয় আদালতে নিজেকে তারেক রানা দাবি করে জামিন নিয়ে কানাডায় চলে যান জয়। বাংলাদেশের রেড নোটিসে নাম থাকা ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন মোল্যা মাসুদ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়ে নেপালে গিয়ে গ্রেফতার হন। নেপালের কারাগার থেকে পালিয়ে বাইন পুনরায় কলকাতায় ফিরে এসে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর গ্রেফতার হন। এর বাইরেও তালিকায় থাকা ভয়ংকর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেনও ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়নি ভারত।

তবে রেড নোটিসে থাকা ১৭ আসামিকে গত ১৮ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকার এনসিবি নিয়ে এসেছে তাদের নিজ প্রচেষ্টায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিসে থাকা ৬৩ জন বাংলাদেশির বেশির ভাগেরই রয়েছে একাধিক পাসপোর্ট। বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে তারা একেক দেশে অবস্থান করে তাদের কর্মকা- পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আইনের ফাঁকফোকরে অনেকটাই মুক্তবিহঙ্গে তারা। ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের মতো করে। সর্বশেষ পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা। দুবাইয়ে আটকের গুজব উঠলেও এখন শোনা যাচ্ছে আরাভ খান দুবাই ছেড়েছেন ২২ মার্চ। এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখেছে দ্বৈত পাসপোর্ট জটিলতা।

তিনি বলেন, ঢাকার এনসিবির অনুরোধে কোনো দেশের পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করলেও তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সে দেশের সঙ্গে অপরাধী বিনিময় চুক্তি থাকা প্রয়োজন। নইলে কেবল টকশোতে গলাবাজি কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কোনো লাভ নেই। সরকারের উচিত হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা।

ইন্টারপোলের রেড নোটিস ঘেঁটে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের ৬৩ শীর্ষ অপরাধীসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের মোট ৭ হাজার ১৮ জন অপরাধীর নাম রয়েছে রেড নোটিসে। রেড নোটিসে বাংলাদেশিদের নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কার বাড়ি কোন জেলায় তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একবার কারও বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি হলে ইন্টারপোল তার সব সদস্য দেশকে ওই রেড নোটিস পাওয়া ব্যক্তির দিকে নজর রাখতে বলে, তার প্রত্যর্পণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে বলে। তবে কোনো দেশ যদি তাদের নিজস্ব বিবেচনায় বা মানবাধিকার প্রশ্নে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, সে ক্ষেত্রে ইন্টারপোল বা তাদের জারি করা রেড নোটিসের মাধ্যমে কিছু করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস থাকলে তাকে যে দেশে খুঁজে পাওয়া যায় সেই দেশ তার সম্পদ জব্দ, চাকরিচ্যুত এবং তার ভিসা প্রত্যাহার করতে পারে। রেড নোটিস থাকলে একটি দেশ আরেকটি দেশে থাকা তাদের অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে শুধু সাহায্য চাইতে পারে।

যাদের ফেরত আনা হয়েছে : পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ১৮ বছরে কেবল ১৭ জনকে পলাতক বাংলাদেশি অপরাধীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত বছর ৯ জুন ঢাকার মতিঝিলের আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি সুমন শিকদার মুসা,  ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আবু সাঈদ, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার বড় আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়িতে স্কুলছাত্রী মোনালিসা মুনাকে (১২) ধর্ষণের পর খুন মামলার আবু সাইদ, ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার আসামি কামরুল,  এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাজমুল মাকসুদ ও মো. আবুল কালাম, কাতার থেকে মোহাম্মদ হৃদয় ও মোসেন মোহাম্মদ, ভারত থেকে নুর হোসেন ও চান্দু মোহাম্মদ সদরুদ্দিন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরিফুল ইসলাম শিমুল, ইরান থেকে নান্নু মিয়া, মালয়েশিয়া থেকে আবদুর রহমান ও পেয়ার আহমেদ, সিঙ্গাপুর থেকে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সৌদি আরব থেকে আবু তাহের আল নূর, নিউজিল্যান্ড থেকে আবদুর রহিম মিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তারেক মোহাম্মদকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এনসিবিসহ একাধিক সূত্র বলছে, রেড নোটিসের হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকা অপরাধীরা কানাডা, ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন, সুইডেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আরও কয়েকটি দেশে অবস্থান করছেন।

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আইনের ফাঁকফোকরে ৬৩ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় ১১:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

লিবিয়ায় পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে ২০২০ সালের ২৮ মে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) রেড নোটিসে ছয়জনের নাম প্রকাশ পায়। তাদেরই একজন কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবালকে ইতালিতে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ।

২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি, ঢাকা) চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিবি, রোম।

পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জাফরকে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ ৪০ দিন লাগতে পারে। তবে সেই আসামিকে আজও ফিরিয়ে দেয়নি ইতালি সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের মানব পাচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।

বাংলাদেশের একসময়ের ভয়ংকর সেভেন স্টার গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানভীর ইসলাম জয়। ২০০৭ সালে কলকাতার বাগুইআটির চিনার পার্কের একটি বাসা থেকে জয়কে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। এর মাত্র দুই বছর আগে ২০০৫ সালে কয়েক ডজন খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন এই জয়ের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। জয়কে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকার চিঠিও দেয় ভারত সরকারকে। উল্টো ভারতীয় আদালতে নিজেকে তারেক রানা দাবি করে জামিন নিয়ে কানাডায় চলে যান জয়। বাংলাদেশের রেড নোটিসে নাম থাকা ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন মোল্যা মাসুদ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়ে নেপালে গিয়ে গ্রেফতার হন। নেপালের কারাগার থেকে পালিয়ে বাইন পুনরায় কলকাতায় ফিরে এসে ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর গ্রেফতার হন। এর বাইরেও তালিকায় থাকা ভয়ংকর শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেনও ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়নি ভারত।

তবে রেড নোটিসে থাকা ১৭ আসামিকে গত ১৮ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকার এনসিবি নিয়ে এসেছে তাদের নিজ প্রচেষ্টায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিসে থাকা ৬৩ জন বাংলাদেশির বেশির ভাগেরই রয়েছে একাধিক পাসপোর্ট। বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে তারা একেক দেশে অবস্থান করে তাদের কর্মকা- পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আইনের ফাঁকফোকরে অনেকটাই মুক্তবিহঙ্গে তারা। ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের মতো করে। সর্বশেষ পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা। দুবাইয়ে আটকের গুজব উঠলেও এখন শোনা যাচ্ছে আরাভ খান দুবাই ছেড়েছেন ২২ মার্চ। এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রেখেছে দ্বৈত পাসপোর্ট জটিলতা।

তিনি বলেন, ঢাকার এনসিবির অনুরোধে কোনো দেশের পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করলেও তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সে দেশের সঙ্গে অপরাধী বিনিময় চুক্তি থাকা প্রয়োজন। নইলে কেবল টকশোতে গলাবাজি কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কোনো লাভ নেই। সরকারের উচিত হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা।

ইন্টারপোলের রেড নোটিস ঘেঁটে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের ৬৩ শীর্ষ অপরাধীসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের মোট ৭ হাজার ১৮ জন অপরাধীর নাম রয়েছে রেড নোটিসে। রেড নোটিসে বাংলাদেশিদের নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কার বাড়ি কোন জেলায় তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একবার কারও বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি হলে ইন্টারপোল তার সব সদস্য দেশকে ওই রেড নোটিস পাওয়া ব্যক্তির দিকে নজর রাখতে বলে, তার প্রত্যর্পণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে বলে। তবে কোনো দেশ যদি তাদের নিজস্ব বিবেচনায় বা মানবাধিকার প্রশ্নে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, সে ক্ষেত্রে ইন্টারপোল বা তাদের জারি করা রেড নোটিসের মাধ্যমে কিছু করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস থাকলে তাকে যে দেশে খুঁজে পাওয়া যায় সেই দেশ তার সম্পদ জব্দ, চাকরিচ্যুত এবং তার ভিসা প্রত্যাহার করতে পারে। রেড নোটিস থাকলে একটি দেশ আরেকটি দেশে থাকা তাদের অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে শুধু সাহায্য চাইতে পারে।

যাদের ফেরত আনা হয়েছে : পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ১৮ বছরে কেবল ১৭ জনকে পলাতক বাংলাদেশি অপরাধীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত বছর ৯ জুন ঢাকার মতিঝিলের আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি সুমন শিকদার মুসা,  ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আবু সাঈদ, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বাংলাবাজার বড় আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়িতে স্কুলছাত্রী মোনালিসা মুনাকে (১২) ধর্ষণের পর খুন মামলার আবু সাইদ, ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার আসামি কামরুল,  এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাজমুল মাকসুদ ও মো. আবুল কালাম, কাতার থেকে মোহাম্মদ হৃদয় ও মোসেন মোহাম্মদ, ভারত থেকে নুর হোসেন ও চান্দু মোহাম্মদ সদরুদ্দিন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরিফুল ইসলাম শিমুল, ইরান থেকে নান্নু মিয়া, মালয়েশিয়া থেকে আবদুর রহমান ও পেয়ার আহমেদ, সিঙ্গাপুর থেকে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সৌদি আরব থেকে আবু তাহের আল নূর, নিউজিল্যান্ড থেকে আবদুর রহিম মিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তারেক মোহাম্মদকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এনসিবিসহ একাধিক সূত্র বলছে, রেড নোটিসের হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকা অপরাধীরা কানাডা, ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন, সুইডেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আরও কয়েকটি দেশে অবস্থান করছেন।