বিয়ের সময় চুক্তিকরা খাট ওযৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাস রোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাশুড়ীর বিরুদ্ধে । নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি এলাকায় পাষবিক এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়েছে বাড়ী থেকে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে । দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেছে স্বজন ও এলাকা বাসী ।
যৌতুকের চাহিদা পুরণ না হওয়ায় শাশুড়ী ও জামাইয়ের নির্মম নির্যাতন সহ্য করেই সংসার ধরে রাখতে চেয়েছিল সুখী আক্তার । দরিদ্র পিতা মাতা শনিবার সকালেও নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি মেয়ের বাড়ীতে এসে দেন দরবার করে যৌতুক দেওয়ার আস্তস্থ করেছিল । কিন্ত পাষন্ড স্বামী শ্বাশুড়ীর ওই প্রতিশ্রুতিতে মন গলেনি । দুপুরে সুখী কে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয় পরিবারের সদস্যরা ।
প্রতিবেশীরা বাড়ীতে সাড়া শব্ধ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় গৃহবধূর সুখীর মরদেহ । পুলিশে খবর দিলে বাড়ীর দরজা ভেংগে মরদেহ উদ্ধার করে । খবর পেয়ে ছুটে আসে গৃহবধূর স্বজনরা । স্বজনরা জানায় বিয়ের সময় একটি খাট ও যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবী করে সুখীকে নিত্য নির্যাতন করে তার স্বামী শ্বাশুড়ী । এর মাঝে কিছু টাকা দিলেও খাট না দেওয়ায় আজ সকালে ডেকে পাঠায় মেয়ের বাবা ও মাকে । তারা এসে দ্রত এ টাকা দিবে বলে আস্বস্থ করেছিল । কিন্তু তারা চলে গেলে সুখীর উপর চলে নির্মম নির্যাতন । স্বজনদের দাবী সুখীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে । তারা বলেন, অনেক দিন ধরেই এ নির্যাতন করা হচ্ছিল । বিভিন্ন সময় হোসেনের মা নিহতের শ্বাশুড়ী ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে আরো যৌতুক পাওয়া যাবে বলে হুশিয়ারী দিয়ে আসছিল ।
৩ বছর আগে শহরের কাদোয়া গ্রামে সুখী আক্তারের সাথে পার্শবর্তী গ্রামের হোসেন আলীর বিয়ে হয় । বিয়ের পর তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে ।
পুলিশ বলছে লাশ ময়না তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । নওগাঁ সদর থানা ওসি মো: ফায়সাল বিন আহসান বলেন, আমরা সব তদন্ত করে দেখছি ।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে নিহত সুখীর পিতা । তবে কাইকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ।