ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের খাট না পেয়ে নওগাঁয় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

বিয়ের সময় চুক্তিকরা খাট ওযৌতুকের টাকা না পাওয়ায়  স্ত্রীকে শ্বাস রোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাশুড়ীর বিরুদ্ধে ।  নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি এলাকায় পাষবিক এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়েছে বাড়ী থেকে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে । দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেছে স্বজন ও এলাকা বাসী ।

যৌতুকের চাহিদা পুরণ না হওয়ায় শাশুড়ী ও জামাইয়ের নির্মম নির্যাতন সহ্য করেই সংসার ধরে রাখতে চেয়েছিল সুখী আক্তার । দরিদ্র পিতা মাতা  শনিবার সকালেও নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি মেয়ের বাড়ীতে এসে   দেন দরবার করে যৌতুক দেওয়ার আস্তস্থ করেছিল । কিন্ত পাষন্ড স্বামী শ্বাশুড়ীর ওই প্রতিশ্রুতিতে মন গলেনি । দুপুরে সুখী কে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয় পরিবারের সদস্যরা ।

প্রতিবেশীরা বাড়ীতে সাড়া শব্ধ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায়  গৃহবধূর সুখীর মরদেহ । পুলিশে খবর দিলে বাড়ীর দরজা ভেংগে মরদেহ উদ্ধার করে । খবর পেয়ে ছুটে আসে গৃহবধূর স্বজনরা । স্বজনরা জানায় বিয়ের সময় একটি খাট ও যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবী করে সুখীকে নিত্য নির্যাতন করে তার স্বামী শ্বাশুড়ী । এর মাঝে কিছু টাকা দিলেও খাট না দেওয়ায় আজ সকালে ডেকে পাঠায় মেয়ের বাবা ও মাকে । তারা এসে দ্রত এ টাকা দিবে বলে আস্বস্থ করেছিল । কিন্তু তারা চলে গেলে সুখীর উপর চলে নির্মম নির্যাতন । স্বজনদের দাবী সুখীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে । তারা বলেন, অনেক দিন ধরেই এ নির্যাতন করা হচ্ছিল । বিভিন্ন সময় হোসেনের মা নিহতের শ্বাশুড়ী ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে আরো যৌতুক পাওয়া যাবে বলে হুশিয়ারী দিয়ে আসছিল ।

৩ বছর আগে শহরের কাদোয়া গ্রামে সুখী আক্তারের সাথে পার্শবর্তী গ্রামের হোসেন আলীর বিয়ে হয় । বিয়ের পর তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে ।

পুলিশ বলছে লাশ ময়না তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । নওগাঁ সদর থানা ওসি মো: ফায়সাল বিন আহসান বলেন, আমরা সব তদন্ত করে দেখছি ।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে নিহত সুখীর পিতা ।  তবে কাইকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ।

 

ট্যাগস

যৌতুকের খাট না পেয়ে নওগাঁয় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০৬:২৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিয়ের সময় চুক্তিকরা খাট ওযৌতুকের টাকা না পাওয়ায়  স্ত্রীকে শ্বাস রোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শাশুড়ীর বিরুদ্ধে ।  নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি এলাকায় পাষবিক এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়েছে বাড়ী থেকে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে । দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেছে স্বজন ও এলাকা বাসী ।

যৌতুকের চাহিদা পুরণ না হওয়ায় শাশুড়ী ও জামাইয়ের নির্মম নির্যাতন সহ্য করেই সংসার ধরে রাখতে চেয়েছিল সুখী আক্তার । দরিদ্র পিতা মাতা  শনিবার সকালেও নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি মেয়ের বাড়ীতে এসে   দেন দরবার করে যৌতুক দেওয়ার আস্তস্থ করেছিল । কিন্ত পাষন্ড স্বামী শ্বাশুড়ীর ওই প্রতিশ্রুতিতে মন গলেনি । দুপুরে সুখী কে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয় পরিবারের সদস্যরা ।

প্রতিবেশীরা বাড়ীতে সাড়া শব্ধ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায়  গৃহবধূর সুখীর মরদেহ । পুলিশে খবর দিলে বাড়ীর দরজা ভেংগে মরদেহ উদ্ধার করে । খবর পেয়ে ছুটে আসে গৃহবধূর স্বজনরা । স্বজনরা জানায় বিয়ের সময় একটি খাট ও যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবী করে সুখীকে নিত্য নির্যাতন করে তার স্বামী শ্বাশুড়ী । এর মাঝে কিছু টাকা দিলেও খাট না দেওয়ায় আজ সকালে ডেকে পাঠায় মেয়ের বাবা ও মাকে । তারা এসে দ্রত এ টাকা দিবে বলে আস্বস্থ করেছিল । কিন্তু তারা চলে গেলে সুখীর উপর চলে নির্মম নির্যাতন । স্বজনদের দাবী সুখীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে । তারা বলেন, অনেক দিন ধরেই এ নির্যাতন করা হচ্ছিল । বিভিন্ন সময় হোসেনের মা নিহতের শ্বাশুড়ী ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে আরো যৌতুক পাওয়া যাবে বলে হুশিয়ারী দিয়ে আসছিল ।

৩ বছর আগে শহরের কাদোয়া গ্রামে সুখী আক্তারের সাথে পার্শবর্তী গ্রামের হোসেন আলীর বিয়ে হয় । বিয়ের পর তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে ।

পুলিশ বলছে লাশ ময়না তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । নওগাঁ সদর থানা ওসি মো: ফায়সাল বিন আহসান বলেন, আমরা সব তদন্ত করে দেখছি ।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে নিহত সুখীর পিতা ।  তবে কাইকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ।