ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

আপিলে জামিন পেলেন হাজী সেলিম

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ১০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে হাজী সেলিমকে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেয়া হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন। পরে পূর্ণাঙ্গ সে রায় প্রকাশিত হয়। আদালত তার রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী মো. সেলিমকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আর আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া এই মামলায় হাজী সেলিমের জব্দ করা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয় রায়ে। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এই মামলায় বিচারিক আদালতের ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

দুদকের করা এই মামলায় বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট সে সাজা থেকে তাকে খালাস দেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে এ মামলাটি আবার শুনানি হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

গত বছরের ৯ মার্চ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে এবং অন্য ধারায় তিন বছরের দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেন। এ রায়ের পর আত্মসমর্পণ করলে হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম।

আত্মসমর্পণের পাশাপাশি জামিনের আবেদনসহ দুটি আবেদন করেন হাজী সেলিম। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাবিধি অনুযায়ী হাজী সেলিমকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, হাজী সেলিমকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আপিলে জামিন পেলেন হাজী সেলিম

আপডেট সময় ১১:০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ১০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে হাজী সেলিমকে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেয়া হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন। পরে পূর্ণাঙ্গ সে রায় প্রকাশিত হয়। আদালত তার রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী মো. সেলিমকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আর আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া এই মামলায় হাজী সেলিমের জব্দ করা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয় রায়ে। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এই মামলায় বিচারিক আদালতের ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

দুদকের করা এই মামলায় বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট সে সাজা থেকে তাকে খালাস দেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে এ মামলাটি আবার শুনানি হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

গত বছরের ৯ মার্চ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে এবং অন্য ধারায় তিন বছরের দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেন। এ রায়ের পর আত্মসমর্পণ করলে হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম।

আত্মসমর্পণের পাশাপাশি জামিনের আবেদনসহ দুটি আবেদন করেন হাজী সেলিম। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাবিধি অনুযায়ী হাজী সেলিমকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, হাজী সেলিমকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।