স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে । নষ্ট ট্রান্সফার খুলে আনার পর চাহিদা মতো অর্থ না দেওয়ায় তা আর ফেরত দিচ্ছে না । এতে সেচ সংকটে প্রায় ৩শ একর জমির ধান পুড়ে নষ্ট হতে চলেছে । ভুক্তভুগীরা সংশ্লিষ্ট দফতরে বারবার ধর্না দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ করছে ।
ভর মওসুমে বৃষ্টি নেই তাই বাড়তি খরচ দিয়ে গভীর নলকুপ থেকে সেচ নিয়ে রোপা আমন ধান রোপণ করেন মহাদেবপুর জোয়ান পুর এলাকার চাষীরা । কিন্ত গত দু সপ্তাহ আগে হটাৎ সেচ এলাকার গভীর নলকুপের সংযোগ নেওয়া ট্রন্সফরমার বিকল হয় ।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত অফিসে জানানো হলে বিকল ট্রান্সফরমার টি খুলে নিয়ে যেতে বলে সেখানে । এর পর থেকেই চলে কর্মকর্তাদের বিকল ট্রান্সফরমার প্রদান নিয়ে নানা টাল বাহানা । নলকুপ অপারেটরের দাবী মোটা অংকের টাকা না দেওয়ায় প্রদান করা হচ্ছে না ট্রান্সফরমার । আর এদিকে তীব্র খড়ায় সেচের অভাবে মাঠ ফেটে চৌচির । পুড়ে নষ্ট হতে চলেছে এসব ধান । কৃষক মাহমুদুল, আফজাল, তফেজ উদ্দিন জানান, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাঠের ধান রোপন করি, এরপর এসব ধানে সার প্রয়োগ করার দু দিন পর গভীর নলকূপের্ সেচের ট্রান্সফারটি নষ্ট হয় । ফলে শুকিয়ে যাওয়া মাঠে সার আর গলে না । এতে করে অনেক টাকা গচ্ছা গেলো জানাচ্ছিলেন এসব চাষীরা । আর দু কৃষক বলছিলেন, যদি আগামী দু চার দিনের মধ্যে এসব মাঠ ফাটা ধানে পানি না দেওয়া যায় তা হলে ফলণ ঘরে তোলা আর যাবে না ।
বিকল ট্রান্সফরমার খুলে আনার দু সপ্তাহ পার হয় । মেরামত বাবদ খরচ প্রদান করে নলকুপ অপারেটর । কিন্ত কর্মকর্তার জন্য বাড়তি অর্থ দাবী করে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভুগী নলকুপ অপারেটরের । নুলকুপ অপারেটর এস এম মাহমুদুন্নবী ভুট্রো বলেন, আমার কোন বকেয়া নেই । তার পরও বিদ্যুত বিভাগের লোকজন নানা হয়রানী করছে । আমি আমার টাকায় মেরামত করতে চেয়েছি । কিন্ত বিদ্যুত বিভাগের ডিজি এম রবিউল আলম অহেতুক টাল বাহানা করছে । তিনি বলেন বিদ্যুত কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো আর্থিক বাড়তি চাহিদা পুরণ না করায় এ জটিলতা তৈর করা হয়েছে ।
অবৈধ অর্থদাবীর কথা অস্বীকার করে বিদ্যুতে বিভাগের কর্মকর্তার দাবী নিয়ম মতো আবেদন না করায় ট্রান্সফরমার টি সরবরাহ করা যাচ্ছে না । মহাদেবপুর পল্লী বিদ্যুত যোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: রবিউল আলম বলেন, আবেদন করতে হবে তার পর তাকে দেওয়া হবে ট্রান্সফরমার ।
স্থানীয় কৃষকদের দাবী সময় মতো সেচের অভাবে প্রায় ৩শ একর জমির ফসল হানীর শংকা দেখা দিয়েছে এ মাঠে ।