স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: অগ্নি কান্ডের ঘটনায় নওগাঁয় ৪ টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । বর্তমানে সব হোরিয়ে খোলা আকাশের নিচে মান বেতর জীবন যাপন করছে পরিবার গুলো ।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের পার-নওগাঁ বয়েজ হোমপাড়া মাদ্রাসা রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের পার-নওগাঁ বয়েজ হোমপাড়া মাদ্রাসা রোডে স্থানীয় লিপি বেগম তার জায়গায় টিন দিয়ে ৪টি ঘর করে ভাড়া দেন। ৬ বছর ধরে সেখানে ৪টি পরিবার বসবাস করছিল। ওই ৪ পরিবারে সদস্য সংখ্যা ১২ জন। ঈদের ছুটিতে ৩টি পরিবার গ্রামের বাড়িতে গেলেও জাহাঙ্গীর আলম সেখানেই ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে শফিকুল ইসলামের পরিবার গ্রাম থেকে শহরের বাড়িতে আসে আর বিকালে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান।
সন্ধ্যার দিকে বাড়ির একটি ঘর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। সন্ধ্যায় কোনো পরিবারই বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয়দের ফোন পেয়ে জাহাঙ্গীর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়িতে এসে দেখে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। ততক্ষণে ৪টি পরিবারের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘর পুড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন তারা। প্রতিবেশীদের সহায়তায় সকাল-দুপুরে খাবার খেয়েছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন।
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সফিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ পৌর প্যানেল মেয়র সারোয়ার তানজিদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি মর্মান্তিক। সেখানে রাতেই প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, এক কেজি সয়াবিন তেল, সাবান, নতুন পোশাক ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।