স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকাঃ বন্যা মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বন্যার পর কৃষক যেন কৃষিকাজ করতে পারে, সে জন্য বীজ, সারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা শুরু হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্যার ঝুঁকিটা আমাদের থাকে, পানিটা নেমে আসবে দক্ষিণ অঞ্চলে। সেজন্য আগাম প্রস্তুতি আমাদের আছে।
তিনি বলেন, আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম, পানি যাতে দ্রুত নেমে যেতে পারে, প্রয়োজনে রাস্তা যেন কেটে দেয়। এটাও আমাদর একটা শিক্ষা, কোন জায়গা থেকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে, কারণ আমাদের এখানে তো বন্যা আসবেই। সেটা চিহ্নিত করে রাখতে বলেছি, সেখানে ব্রিজ কালভার্ট এমনভাবে করে দেব, যাতে পানি জমা থাকতে না পারে।
ওই অঞ্চলে আরও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র করার পাশাপাশি বন্যার কথা মাথায় রেখে অবকাঠামো করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরআগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বুধবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে আগত অতিথিদের বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড নেগেটিভ সনদসহ থাকার অনুরোধ করা হয়।
আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন নামফলক উন্মোচন করে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হবেন তিনি।
এরপর অন্য প্রান্তেও নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।