ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি; আরও এক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম

ঢাকা প্রতিনিধিঃ  সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগার ৪০ ঘণ্টা পর সোমবার সকালেও জ্বলছিল কোনো কোনো কন্টেইনার, বাতাসে উড়ছিল ধোঁয়া।

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগার ৪০ ঘণ্টা পর সোমবার সকালেও জ্বলছিল কোনো কোনো কন্টেইনার, বাতাসে উড়ছিল ধোঁয়া।

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমকেও বাঁচানো গেল না।
রোববার ভোর ৩টায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা শাহজাদী সুলতানা বলেন, এ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১০ সদস্যের মৃত্যু হল। ডিপো থেকে উদ্ধার করা যেসব পোড়া লাশ শনাক্ত করা যায়নি, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনজন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বেসরকারি ওই কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে বিভিন্ন সংস্থা। ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দুইজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একজন। সেদিন সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দুইজনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় হতাহতের বেশিরভাগই ফায়ার সার্ভিস কর্মী, ডিপোর শ্রমিক-কর্মচারী, কন্টেইনারবাহী গাড়ির চালক-সহকারী ও শ্রমিক। আহত ও দগ্ধ অনেকে এখনও চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ট্যাগস

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি; আরও এক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:৪১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

ঢাকা প্রতিনিধিঃ  সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগার ৪০ ঘণ্টা পর সোমবার সকালেও জ্বলছিল কোনো কোনো কন্টেইনার, বাতাসে উড়ছিল ধোঁয়া।

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুন লাগার ৪০ ঘণ্টা পর সোমবার সকালেও জ্বলছিল কোনো কোনো কন্টেইনার, বাতাসে উড়ছিল ধোঁয়া।

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমকেও বাঁচানো গেল না।
রোববার ভোর ৩টায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা শাহজাদী সুলতানা বলেন, এ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১০ সদস্যের মৃত্যু হল। ডিপো থেকে উদ্ধার করা যেসব পোড়া লাশ শনাক্ত করা যায়নি, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আরও তিনজন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বেসরকারি ওই কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে বিভিন্ন সংস্থা। ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দুইজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একজন। সেদিন সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দুইজনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় হতাহতের বেশিরভাগই ফায়ার সার্ভিস কর্মী, ডিপোর শ্রমিক-কর্মচারী, কন্টেইনারবাহী গাড়ির চালক-সহকারী ও শ্রমিক। আহত ও দগ্ধ অনেকে এখনও চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক।