ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চমেকে পড়ে আছে অগ্নিকাণ্ড ফেসবুকে লাইভ করা সেই যুবকের নিথর মরদেহ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রচারে নিজের ফেসবুকে লাইভ করছিলেন অলিউর রহমান নামে এক তরুণ।

হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়।নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ।

তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)।

অলিউর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল ও পরিবার। জানা গেছে, অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর একজন শ্রমিক ছিলেন।

শনিবার (৪ জুন) রাতে আগুন লাগার সময় অক্ষত ও নিরাপদেই ছিলেন অলিউর। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসায় রাত ৯টার বিস্ফোরণে ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যান।

কিন্তু রাত ১১টা থেকে ফেসবুকে লাইভে যুক্ত হন তিনি। আর লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আরেকটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকে তার লাইভটি অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অলিউর। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।

ইতোমধ্যে তার সেই ফেসবুক লাইভটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার লাইভের বিস্ফোরণের সেই ভিডিওটি সব গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

অলিউরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার সহকর্মী রুয়েল বলেন, ‘আমরা ওই সময় খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। পরে কনটেইনার বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চমেকে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনরা চট্টগ্রাম যাচ্ছেন।’

ট্যাগস

চমেকে পড়ে আছে অগ্নিকাণ্ড ফেসবুকে লাইভ করা সেই যুবকের নিথর মরদেহ

আপডেট সময় ০৬:৫৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রচারে নিজের ফেসবুকে লাইভ করছিলেন অলিউর রহমান নামে এক তরুণ।

হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়।নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ।

তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)।

অলিউর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল ও পরিবার। জানা গেছে, অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর একজন শ্রমিক ছিলেন।

শনিবার (৪ জুন) রাতে আগুন লাগার সময় অক্ষত ও নিরাপদেই ছিলেন অলিউর। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসায় রাত ৯টার বিস্ফোরণে ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যান।

কিন্তু রাত ১১টা থেকে ফেসবুকে লাইভে যুক্ত হন তিনি। আর লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আরেকটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকে তার লাইভটি অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অলিউর। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।

ইতোমধ্যে তার সেই ফেসবুক লাইভটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার লাইভের বিস্ফোরণের সেই ভিডিওটি সব গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

অলিউরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার সহকর্মী রুয়েল বলেন, ‘আমরা ওই সময় খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। পরে কনটেইনার বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চমেকে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনরা চট্টগ্রাম যাচ্ছেন।’