স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ নওগাঁর মান্দায় তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীররাতে একটি ও শুক্রবার দুপুর ও বিকেলে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মৈনম ইউয়িনের দক্ষিণ মৈনম গ্রামের আবদুস সামাদ (৫৮), প্রসাদপুর ইউনিয়নের বিনয় বাজার এলাকার রবীন্দ্রনাথ পাইক (৬৬) ও চকরাজাপুর গ্রামের সাব্বির হোসেন (২৬)।
মৃত আবদুস সামাদের মেয়ে সাবিনা খাতুন জানান, ‘আমার মা মারা যাওয়ার পর মৌসুমী খাতুন নামে এক নারীকে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সামিয়া আক্তার নামে এ পক্ষের দুই বছরের একটি মেয়ে সন্তান আছে। পারিবারিক কারণে রোজার কিছুদিন আগে বাবা আবদুস সামাদ সৎমা মৌসুমীকে তালাক দেন। এরপর থেকে বোন সামিয়া আক্তারকে বাবা নিজেই দেখাশোনা করতেন।’
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বোন সামিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে বাড়ির অদুরে রুবেল হোসেনের বাগানের একটি আমগাছে বাবার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ পাইকের ছেলে রতন পাইক জানান, ‘বাবা রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাতে তিনি বাড়ির বারান্দায় ঘুমাতেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ের একটি আমবাগানে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।’
এদিকে মৃত সাব্বির রহমানের স্ত্রী সুরমা বেগম জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে স্বামী সাব্বির হোসেন বাড়ির সবার অগোচরে শয়নঘর বন্ধ করে দেন। বেশকিছু সময় পার হওয়ার পরও তিনি দরজা না খোলায় অনেক ডাকাডাকি করা হয়। সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের হুকের সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় মান্দা থানায় পৃথক তিনটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।