ক্রীড়া ডেক্স : ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে বড় বড় ম্যাচ জিতিয়েছেন। এখন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ঘরোয়া লিগে আশরাফুলের মূল পরিচিতিটা ব্যাটার হিসেবেই।
যদিও লেগস্পিন বোলিং দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ক্যারিয়ার। কিন্তু পরে পুরোদুস্তোর ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বোলিংটাও যে ছেড়ে দিয়েছিলেন, এমন নয়।
একটা সময় লেগস্পিন করলেও পরে অফস্পিনে হাত পাকান আশরাফুল। তবে সেটা স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবে নয়, দুই-চার ওভার দরকার হলে অধিনায়করা করিয়ে নিতেন।
কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের বিপক্ষে পুরোদুস্তোর বোলার হিসেবে সাফল্য দেখালেন আশরাফুলকে। ১০ ওভার হাত ঘুরালেন। মাত্র ২৩ রান দিয়ে একাই নিলেন ৫ উইকেট।
আশরাফুলের এমন বোলিংয়ে হাফিজ-ইমরুলদের মোহামেডানকে মাত্র ২০৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবু রক্ষা। আট নম্বর ব্যাটার জাহিদুজ্জামান খান অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস না খেললে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো মোহামেডানকে।
সাভার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানের মধ্যে দুই ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন (১) আর সৌম্য সরকারকে (৭) হারিয়ে বসে মোহামেডান। দুটি উইকেটই নেন আবু হায়দার রনি।
এরপর রনি তালুকদার আর মোহাম্মদ হাফিজের ৭২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মোহামেডান। এমন সময়ে হঠাৎ আশরাফুলের ঘূর্ণি জাদু।
পাকিস্তানের অভিজ্ঞ হাফিজকে (২৮) এলবিডব্লিউ করে শুরু। এরপর একে একে রনি তালুকদার (৫৮), সোহরাওয়ার্দি শুভ (১৬), শুভাগতহোম (৮), ইয়াসিন আরাফাত মিশুকে (৪) সাজঘরের পথ দেখান আশরাফুল।
এর মধ্যে শুভাগত আর রনিকে তো পরিষ্কার বোল্ড করেন আশরাফুল। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ২০৬ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডানের ইনিংস।