রাজনীতি ডেক্স : ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের কাউন্সিলে অপর অংশের নেতাকর্মীরা হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে কামাল হোসেনের অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান এমপিসহ প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
কাউন্সিলের চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করা হয় এবং মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের নেতা কর্মীরা কাউন্সিলের ব্যানারও নিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে একপক্ষকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়।
শনিবার গণফোরামের কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এর একটি অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে কাউন্সিলের আয়োজন করে, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অপর অংশ প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ড. কামাল হোসেনের অংশের গণফোরাম কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময়ে অপর অংশ নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভিতরে ঢুকে কাউন্সিলে হামলা করে। তারা চেয়ার ও টেবিল ভাংচুরের পাশাপাশি কাউন্সিলে আগত নেতাকর্মীদের উপরও হামলা করেন।
এসময়ে হামলাকারীরা বলেন, মেকাব্বির খান সহ এই অংশের নেতাকর্মীরা সরকারের দালাল। তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে গণফোরামকে বিভক্ত করেছে।
এসময়ে তারা মোকাব্বির খানকে দাওয়া দিয়ে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। তাকে রক্ষার জন্য যারা এগিয়ে আসেন তাদেরকেও পেটানো হয়। হামলার সময়ে মন্টুর অংশের নেতা অ্যাডভোকেট মোহসীন রশীদকে দেখা গেছে।
তবে ঘটনার উভয় অংশের সিনিয়র নেতা ড. কামাল হোসেন কিংবা মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সুব্রত চোধুরী কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
হামলার বিষয়ে মোকাব্বির খান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন। এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি। কিন্তু কিছু দুস্কৃতকারী কাউন্সিলে হামলা করে আমাকেসহ আরো অনেককে আহত করেছে। এটা গণতন্ত্রের উপর হামলা। গণফোরাম থেকে বহিস্কৃতরা এই হামলা চালিয়েছে।