নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারি) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ইসির নতুন চার কমিশনার হলেন- বেগম রাশিদা সুলতানা (জেলা ও দায়রা জজ, অবসরপ্রাপ্ত), আহসান হাবীব খান (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, অবসরপ্রাপ্ত), মো. আলমগীর (সিনিয়র সচিব, অবসরপ্রাপ্ত) ও আনিছুর রহমান (সিনিয়র সচিব, অবসরপ্রাপ্ত)।
সিইসির শূন্য পদ পূরণ করতে যাওয়া হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসর নিয়েছিলেন।
বিসিএসের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা তার আগে আইন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এবং সংসদ সচিবালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছিলেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ১৯৮৮ সালে জুডিশিয়াল বিচারক হিসেবে যোগ দেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ছিলেন। ওই পদে থাকাবস্থায় তিনি সিনিয়র সচিব ছিলেন। এর আগে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ছিলেন।
আর সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেন। তিনি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ছিলেন। এর আগে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও সচিব ছিলেন।
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, এবারই প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে একই সঙ্গে তিনজন সিনিয়র সচিব পর্যায়ের সাবেক কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হলো। এর আগে কেএম নূরুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও ড. এটিএম শামসুল হুদা কমিশনের সিইসি ও কমিশনার পদে সর্বোচ্চ একজন সাবেক সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।