ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

ফেনীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

ফেনীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

ফেনী প্রতিনিধি:  ফেনী জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ করেই বেড়েছে রোগীর চাপ। বেশিরভাগ রোগীই ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতেই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে কিছুটা হিমশিম খেলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, বুধবার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত জেলার এ হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে ৭৮ জন রোগীর আসনে ভর্তি রয়েছেন ২০৫ জন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ ভ্যাপসা গরম, রাতের শেষ ভাগে শীত ও কুয়াশা পড়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মূলত মৌসুমি আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ড ও মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগী গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতেও ফোম দিয়ে বাড়ানো হয়েছে শয্যা। কোথাও পা রাখার জায়গা নেই। ওয়ার্ডের ভেতরে স্থান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দায়।

হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া দেড়মাস বয়সী শিশু ফারিয়া সুলতানার মা মর্জিনা আক্তার জানান, ৫/৬ দিন আগে ফারিয়ার জ্বর ও ঠান্ডা দেখা দেয়। স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে কোনো কাজ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে সোমবার (১১ অক্টোবর) মেয়েকে নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শয্যা না থাকায় বারান্দাতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এছাড়া বারান্দায় রোগীদের চাপে নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতালের নার্স ইনচার্জ নিলুফা সুলতানা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী বেড়েছে। প্রতিদিনই ছাড়পত্রের তুলনায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে কষ্ট হলেও চিকিৎসক-নার্সরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা দিয়ে আসছেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, বুধবার (১৩ অক্টোবর) ফেনী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬ জনের শয্যায় ৭৪ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫২ জনের শয্যায় ১৩১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

তিনি আরও জানান, শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রোগী জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। আবহাওয়া পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম, ঠান্ডার কারণে মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে রোগীরা হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ফেনীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

আপডেট সময় ১১:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

ফেনী প্রতিনিধি:  ফেনী জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ করেই বেড়েছে রোগীর চাপ। বেশিরভাগ রোগীই ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতেই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে কিছুটা হিমশিম খেলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, বুধবার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত জেলার এ হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে ৭৮ জন রোগীর আসনে ভর্তি রয়েছেন ২০৫ জন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ ভ্যাপসা গরম, রাতের শেষ ভাগে শীত ও কুয়াশা পড়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মূলত মৌসুমি আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ড ও মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগী গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতেও ফোম দিয়ে বাড়ানো হয়েছে শয্যা। কোথাও পা রাখার জায়গা নেই। ওয়ার্ডের ভেতরে স্থান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অনেক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দায়।

হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া দেড়মাস বয়সী শিশু ফারিয়া সুলতানার মা মর্জিনা আক্তার জানান, ৫/৬ দিন আগে ফারিয়ার জ্বর ও ঠান্ডা দেখা দেয়। স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে কোনো কাজ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে সোমবার (১১ অক্টোবর) মেয়েকে নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শয্যা না থাকায় বারান্দাতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এছাড়া বারান্দায় রোগীদের চাপে নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতালের নার্স ইনচার্জ নিলুফা সুলতানা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী বেড়েছে। প্রতিদিনই ছাড়পত্রের তুলনায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে কষ্ট হলেও চিকিৎসক-নার্সরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা দিয়ে আসছেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, বুধবার (১৩ অক্টোবর) ফেনী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬ জনের শয্যায় ৭৪ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫২ জনের শয্যায় ১৩১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

তিনি আরও জানান, শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ রোগী জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। আবহাওয়া পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম, ঠান্ডার কারণে মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে রোগীরা হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।