ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আছে ভবন, ছাএ -ছাএীরা যেতে পারে না বিদ্যালয়ে

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলায় শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

গ্রামের ধানক্ষেতের সরু আইলই সেখানে যাতায়াতের একমাত্র পথ। এতে ওই এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১২ সালে শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে সব শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬১ জন। বিদ্যালয়ের তিন পাশেই ধানক্ষেত। আরেক পাশে রয়েছে একটি পুকুর। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে শিশুদের যাতায়াতের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো রাস্তা তৈরি হয়নি। ফলে তাদের পুকুর পাড়ের সরু আইল দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাদৌড় গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতে মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। সরু রাস্তা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেক সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে কাপড়, বই ভিজিয়ে ফেলে।

বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র এখলাসের মা শিউলি বেগম বলেন, রাস্তা না থাকায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি, পুকুরে পড়ে যায় কি না। এ জন্য মাঝে মধ্যে স্কুলে গিয়ে বাচ্চার জন্য বসে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু আফতাব বলেন, রাস্তা না থাকায় অনেক ভোগান্তি হয়। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে চায় না। অভিভাবকরা বাচ্চাদের দিতে চান না। বর্ষা মৌসুমে আরো বেশি সমস্যা হয়।

জমির আইল দিয়ে আসতে গিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে বইখাতা ভিজে যাওয়ারও ঘটনাও ঘটছে। শুরুর দিকে প্রায় ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। এখন সব শ্রেণি মিলিয়ে পড়ে ৬১ জন। রাস্তা না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নও হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল বাবু বলেন, গ্রামীণ পাকাসড়ক থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। দুর্ভোগের কথা বারবার জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে দিন দিন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে।

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গাফ্ফার এ বিষয়ে বলেন, ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে এক সহৃদয়বান ব্যক্তি জমি দান করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য যে জমির প্রয়োজন তা কেউ দিতে চায় না। এ কারণে কাজটি থমকে আছে। জমি দিতে কেউ রাজি হলে ব্যক্তিগত খরচে হলেও রাস্তাটি তৈরি করে দেবো।

ট্যাগস

আছে ভবন, ছাএ -ছাএীরা যেতে পারে না বিদ্যালয়ে

আপডেট সময় ১২:১৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলায় শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

গ্রামের ধানক্ষেতের সরু আইলই সেখানে যাতায়াতের একমাত্র পথ। এতে ওই এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১২ সালে শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে সব শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬১ জন। বিদ্যালয়ের তিন পাশেই ধানক্ষেত। আরেক পাশে রয়েছে একটি পুকুর। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে শিশুদের যাতায়াতের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো রাস্তা তৈরি হয়নি। ফলে তাদের পুকুর পাড়ের সরু আইল দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাদৌড় গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতে মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। সরু রাস্তা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেক সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে কাপড়, বই ভিজিয়ে ফেলে।

বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র এখলাসের মা শিউলি বেগম বলেন, রাস্তা না থাকায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি, পুকুরে পড়ে যায় কি না। এ জন্য মাঝে মধ্যে স্কুলে গিয়ে বাচ্চার জন্য বসে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু আফতাব বলেন, রাস্তা না থাকায় অনেক ভোগান্তি হয়। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে চায় না। অভিভাবকরা বাচ্চাদের দিতে চান না। বর্ষা মৌসুমে আরো বেশি সমস্যা হয়।

জমির আইল দিয়ে আসতে গিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে বইখাতা ভিজে যাওয়ারও ঘটনাও ঘটছে। শুরুর দিকে প্রায় ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। এখন সব শ্রেণি মিলিয়ে পড়ে ৬১ জন। রাস্তা না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নও হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিমল বাবু বলেন, গ্রামীণ পাকাসড়ক থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। দুর্ভোগের কথা বারবার জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে দিন দিন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে।

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গাফ্ফার এ বিষয়ে বলেন, ওই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে এক সহৃদয়বান ব্যক্তি জমি দান করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য যে জমির প্রয়োজন তা কেউ দিতে চায় না। এ কারণে কাজটি থমকে আছে। জমি দিতে কেউ রাজি হলে ব্যক্তিগত খরচে হলেও রাস্তাটি তৈরি করে দেবো।