বিনোদন ডেক্স : ঢাকাই চলচ্চিত্রের তুমুল আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই চিত্রনায়িকার পর্দার বাইরের ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল রয়েছে। বিশেষ করে গ্রেপ্তারের পর তার পারিবারিক জীবন নিয়েও সত্য-মিথ্যার মিশেলে বিভিন্ন তথ্য অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে পরীমনির পাশাপাশি সম্প্রতি তার নানা শামসুল হক গাজীর নামও বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। বিশেষ করে পরীমনির মামলার শুনানী চলাকালে আদালত প্রাঙ্গণে তিনি নাতনিকে দেখতে গেলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আদালতে অপেক্ষমান বয়োবৃদ্ধ নানাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই নায়িকা।
পরীমনির দুঃসময়ে আদালত প্রাঙ্গণে শোবিজ জগতের কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি তার কোনো আত্মীয়কেও ঘটনার শুরুতে দেখা যায়নি। কিন্তু শামসুল হক গাজী নাতনির বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেননি।
তিনি প্রিয় নাতনির খোঁজ নিতে আদালত পর্যন্ত গিয়েছেন। জানা গেছে, এই নানার কাছেই পরীমনি ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছেন। ছেলেবেলায় বাবা-মা হারিয়ে নানাই হলো তার একমাত্র অভিভাবক, আত্মজন।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায় র্যাব। সেসময় বাসায় ছিলেন তার নানা। পরীমনি এখন কাশিমপুর কারাগারে বন্দি।
কিন্তু তার বৃদ্ধ নানা এখন কোথায় আছেন বা নানার পাশে কে আছেন? এ নিয়ে নানান মুখরোচক খবর অন্তর্জালে ভেসে বেড়ালে বিষয়টি জানতে এই প্রতিবেদক কথা বলেন পরীমনির এক ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, পরীমনি বৃদ্ধ নানার দেখাশোনা করতেন। গত ৪ আগস্ট নানা পরীমনির বাসায় ছিলেন। পরীমনিকে আটকের পর নানার সঙ্গে বাড়িতে নিকটাত্মীয় কেউ ছিলেন না।
লকডাউন শিথিল হলে পিরোজপুর থেকে পরীমনির খালা, খালু আর খালাতো ভাই ফেরদৌস মেহেদী আসেন। তারাই এখন পরীমনির বাসায় আছেন। তারা নানার দেখাশোনা করছেন।
পরীমনি বর্তমানে মাদক মামলায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দি। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তার এই মামলার শুনানীর কথা রয়েছে।