বিনোদন ডেস্ক : পর্নোকাণ্ডে আলোচনায়-সমালোচনায় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তার স্বামী রাজ কুন্দ্রা। পর্নো ভিডিও তৈরি এবং প্রকাশের অভিযোগে গেল ১৯ জুলাই রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ।
গেল শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজ-শিল্পার মুম্বাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ৫১টি পর্নোভিডিও উদ্ধার করা হয়।
এ মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন রাজ কুন্দ্রা। রাজকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিনেত্রী শিল্পাকে ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
তারপর থেকে ঘুরে ফিরে শিল্পা নাম বার বার সামনে চলে আসছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি রুপির মানহানি মামলা করেছেন শিল্পী শেঠি। খবর জি-নিউজ।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) ছিল ওই মামলার শুনানি। বোম্বে হাইকোর্ট রীতিমত তিরস্কার করেছে শিল্পাকে। এদিন বিচারপতি গৌতম এস প্যাটেলের এজলাসে শিল্পার দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানি হয়।
শিল্পার আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চায়, পুলিশের দেওয়া তথ্য সংবাদ-মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা কীভাবে মানহানিকর হতে পারে? আদালত জানিয়ে দেয়, অপরাধ দমন শাখা কিংবা পুলিশের দেওয়া তথ্য কখনোই মানহানিকর বলে বিবেচনা করা যায় না।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
বাকস্বাধীনতার পথ সংকীর্ণভাবে তৈরি করা হতে পারে তবে গোপনীয়তার অধিকার সংবিধানসিদ্ধ এবং মৌলিক অধিকার।’ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করে বিচারপতি।
এদিকে, পর্নোকাণ্ডে আলোচনায় থাকা রাজ-শিল্পাকে ৩ লাখ রুপি জরিমানা করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)।
ব্যবসায়িক চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ জরিমানা করা হয়েছে। ফলে আরও বিপদে পড়লেন রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেঠি।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, রাজের প্রতিষ্ঠান ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত চালায় সেবি।
তার ভিত্তিতেই রাজ-শিল্পাকে জরিমানা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সেবি জানায়, ২০১৫ সালে চারজনকে ৫ লাখ টাকার শেয়ার বিতরণ করেছে ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ। শেয়ার বিতরণে অনিয়ম করেছেন রাজ। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে সেবি।
অন্যদিকে, স্বামীর গ্রেপ্তার ঠেকাতে ২৫ লাখ ভারতীয় রুপি ঘুষ দিয়েছিলেন শিল্পা। তাতেও কাজ হয়নি। পরে অবশ্য শিল্পা দাবি করেছেন, তার স্বামী পর্নো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। ইরোটিক ভিডিও আর পর্নো এক জিনিস না।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘আর্মস প্রাইম মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন রাজ কুন্দ্রা। তার ছয় মাস পরেই ‘হটশট’ নামে অ্যাপ তৈরি করেন তারা। যা পুলিশের কাছে পর্নোঅ্যাপ নামে চিহ্নিত হয়েছে।