ক্রীড়া ডেক্স : অলিম্পিকে ৫টি স্বর্ণ জয়ী কেটি লেডেকি। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে সর্বশেষ রিও অলিম্পিকে গোল্ড মেডেলিস্ট। এবারও তিনি ছিলেন ফেবারিট। ২০০ মিটার, ৪০০ মিটারে তিনি অবিসংবাধিত ফেবারিট। তাকে হারানোর সাধ্য কারো আছে, সেটাই ছিল যেন কল্পনার বাইরে।
কিন্তু সোমবার ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ২০ বছর বয়সী তরুণি আরিয়ানে তিতমাস। ৪০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে লেডেকিকে পেছনে ফেলে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন তিতমাস। এবার আবারও তিতমাস বাজিমাত করলেন। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলেও স্বর্ণ পদক জিতলেন তিনি।
সবচেয়ে করুণ বিষয় হচ্ছে পদক তালিকাতেই নিজের নামটি তুলতে পারলেন না কেডি লেডেকি। এই ইভেন্টে তিনি হলেন পঞ্চম। তিতমাসের সঙ্গে মূলতঃ লড়াই হয়েছে হংকংয়ের সাঁতারু সিওভান হুগেইয়ের। তিনি জিতেছেন রৌপ্য পদক এবং তাম্র পদক জিতেছেন কানাডার পেনি ওলেকসিয়াক।
১ মিনিট ৫৩.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ পদক জেতেন তিতমাস। লেডেকি তিতমাসের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন ১.১৭ সেকেন্ড সময়। সোনার পদক জয়ের পর তিতমাস বলেন, ‘আমি খুবই ক্লান্ত।
এই প্রতিযোগিতাটা ছিল খুবই কঠিন। আমার মনে হচ্ছিল সিওভান সম্ভবত আমাকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। গতকাল হিটের সময়েই সে যেভাবে সাঁতরেছিল, এরপর বলেছিলাম যে তাকে হারানো কঠিন হবে।’
এরই মধ্যে ‘দ্য টার্মিনেটর’ উপাধি পেয়ে গেছেন ২০ বছর বয়সী তরুণী তিতমাস। শেষ মুহূর্তে এসে নিজেকে এগিয়ে নিতে পেরেছিলেন তিনি। ১৫০ মিটার পর্যন্ত কিন্তু এগিয়ে ছিলেন সিওভান হুগেই।
১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিকে শেন গোল্ডের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান কোনো নারী সাঁতারু (আরিয়ানে তিতমাস) ২০০ ও ৪০০ মিটারে জোড়া সোনার পদক জয় করলেন।
তবে ২০০ এবং ৪০০ মিটারে হেরে গেলেও ৫ বারের অলিম্পিক গোল্ড মেডেলিস্ট লেডেকিকে একেবারেই খালি হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে না টোকিও। আজ ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে তিতমাসের কাছে পরাজয়ের পর ১৫০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে স্বর্ণপদক জিতেছেন কেটি লেডেকি। দলীয় সতীর্থ এরিকা সুলিভানকে পরাজিত করেন তিনি। সুলিভান রৌপ্য এবং জার্মান সাঁতারু সারাহ কোলার জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদক।
তবে এখানেই শেষ নয়, তিতমাস এবং লেডেকি আরও একটি ইভেন্টে পরস্পর মুখোমুখি হবেন। সেটা হচ্ছে ৮০০ মিটার ফ্রি স্টাইল। আগামী শনিবার কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী লেডেকি খুব বেশি শক্তিশালী এবং ফেবারিট। দেখা যাক তিতমাস তাকে পরাজিত করতে পারেন কি না। এছাড়া ৪*২০০ মিটার রিলে তেও লেডেকির দলের বিপক্ষে খেলতে নামবে তিতমাসের দল।