ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিককে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ

হাসেম ফুডস কারখানার মালিক

নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফ্যাক্টরিতে ৮ জুলাই সন্ধ্যায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৃতীয় দিন শনিবার (১০ জুলাই) ভবনটির পাঁচ ও ছয়তলায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় হাসেম ফুডস কারখানার মালিককে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। মামলার প্রস্তুতিও চলছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খুব অল্প সময়ের ভেতরই মামলা হবে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে আমরা নজরদারিতেও রেখেছি।

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আবির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখনও ওই ভবনে কাজ করছে। তারা আমাদেরকে কাজ শেষে ভবনটি বুঝিয়ে দেবে।

এরপর তদন্ত হবে। মামলাও হবে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ শনাক্ত করতে শনিবার সকাল থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গ।

মৃতদেহ শনাক্ত করতে মর্গের সামনে ভিড় করেছেন স্বজনরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে ৩৭ স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করতে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন নিহতদের স্বজনরা। ভোলা থেকে আসা ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। রাকিব নামে তার এক বন্ধু আছে। রাকিব নিখোঁজ। তারা দুজনই একসঙ্গে কাজ করত।

এদিকে সেজান জুস কারখানায় আগুন কীভাবে লেগেছিল? এটি নিছক দুর্ঘটনা, না মালিকপক্ষের গাফিলতি ছিল পেছনে? নাকি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়ে রয়েছে কোনো দ্বন্দ্ব? এসব কিছুই তদন্ত করে দেখবে পিবিআই। পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ আগুনের কারণ অনুসন্ধান বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এতে যদি মালিকপক্ষের গাফিলতি থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। তিনি বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে আগুন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আইন রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা সেটিও আমরা দেখব। এ ছাড়া নাশকতার বিষয়টিও আমরা মাথায় রেখে অনুসন্ধান করছি।

গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

নারায়ণগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিককে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ

আপডেট সময় ০৪:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফ্যাক্টরিতে ৮ জুলাই সন্ধ্যায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৃতীয় দিন শনিবার (১০ জুলাই) ভবনটির পাঁচ ও ছয়তলায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় হাসেম ফুডস কারখানার মালিককে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। মামলার প্রস্তুতিও চলছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খুব অল্প সময়ের ভেতরই মামলা হবে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে আমরা নজরদারিতেও রেখেছি।

নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আবির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখনও ওই ভবনে কাজ করছে। তারা আমাদেরকে কাজ শেষে ভবনটি বুঝিয়ে দেবে।

এরপর তদন্ত হবে। মামলাও হবে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ শনাক্ত করতে শনিবার সকাল থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গ।

মৃতদেহ শনাক্ত করতে মর্গের সামনে ভিড় করেছেন স্বজনরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে ৩৭ স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করতে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন নিহতদের স্বজনরা। ভোলা থেকে আসা ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। রাকিব নামে তার এক বন্ধু আছে। রাকিব নিখোঁজ। তারা দুজনই একসঙ্গে কাজ করত।

এদিকে সেজান জুস কারখানায় আগুন কীভাবে লেগেছিল? এটি নিছক দুর্ঘটনা, না মালিকপক্ষের গাফিলতি ছিল পেছনে? নাকি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়ে রয়েছে কোনো দ্বন্দ্ব? এসব কিছুই তদন্ত করে দেখবে পিবিআই। পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ আগুনের কারণ অনুসন্ধান বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এতে যদি মালিকপক্ষের গাফিলতি থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। তিনি বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে আগুন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আইন রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা সেটিও আমরা দেখব। এ ছাড়া নাশকতার বিষয়টিও আমরা মাথায় রেখে অনুসন্ধান করছি।

গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471