ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর রানীনগরে পশুর হাটে ইউএনওর অভিযান, ক্রেতা-বিক্রেতার ছোটাছুটি

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ :  করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে বসেছিল পশুর হাট। জানতে পেরে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলিশ নিয়ে ওই হাটে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকনে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় পুরো হাট আর ইজারাদারকে গুনতে হয় জরিমানা।বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানীনগর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট আবাদপুকুর। সপ্তাহে দুদিন হাটবার হলেও বুধবার ছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ওই হাটে বগুড়ার আদমদীঘিসহ আশপাশের উপজেলা থেকে পশু নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।

কঠোর বিধিনিষেধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পশুর হাট বসায় ইজারাদার। যেখানে কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। এমনকি হাটে আসা বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না।

বিষয়টি জানাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো পুলিশ নিয়ে হাটে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে হাট ফাঁকা হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাট ইজারাদারদের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘হাট-বাজারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

বিশেষ করে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হয় না। এ কারণে সেখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পশুর হাট না বসানোর জন্য ইজারাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এরপরও হাটবারে পশুর হাট বসানো হয়। খবর পেয়ে হাটে অভিযান পরিচালনা করে ইজারাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ট্যাগস

নওগাঁর রানীনগরে পশুর হাটে ইউএনওর অভিযান, ক্রেতা-বিক্রেতার ছোটাছুটি

আপডেট সময় ১১:৪০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ :  করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে বসেছিল পশুর হাট। জানতে পেরে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলিশ নিয়ে ওই হাটে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকনে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় পুরো হাট আর ইজারাদারকে গুনতে হয় জরিমানা।বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানীনগর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট আবাদপুকুর। সপ্তাহে দুদিন হাটবার হলেও বুধবার ছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ওই হাটে বগুড়ার আদমদীঘিসহ আশপাশের উপজেলা থেকে পশু নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।

কঠোর বিধিনিষেধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পশুর হাট বসায় ইজারাদার। যেখানে কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। এমনকি হাটে আসা বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না।

বিষয়টি জানাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো পুলিশ নিয়ে হাটে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে হাট ফাঁকা হয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাট ইজারাদারদের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘হাট-বাজারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

বিশেষ করে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হয় না। এ কারণে সেখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পশুর হাট না বসানোর জন্য ইজারাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এরপরও হাটবারে পশুর হাট বসানো হয়। খবর পেয়ে হাটে অভিযান পরিচালনা করে ইজারাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।