স্টাফ রিপোর্টার : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে।
এই শুনানিকে কেন্দ্র করে রোববার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলার অভিযুক্ত ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর কিছু সময় পর শুরু হয় শুনানি।
১৩ জুন এ নিয়ে পুনরায় আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় অভিযুক্ত কনস্টেবল সাগর দেব ১০ মাসেরও বেশি সময় পলাতক থাকার পর গত ২৪ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন।
আদালত মামলার তদন্তভার দেয় র্যাবকে। পরদিন ৬ অগাস্ট প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরে শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্য এবং সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের মামলার সাক্ষী স্থানীয় তিনজন বাসিন্দাকে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অপর ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
এতে টেকনাফ থানার সাবেক দুই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাগর দেব ও কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে নতুন করে আসামি করা হয়।
পরে কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিলেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে ১৫ আসামিই কারাগারে রয়েছেন।
প্রায় ৯ মাস আগে দুদকের একটি মামলায় হাজিরা দিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ১০ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।