ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে ঠাঁই হলো যুবকের

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  নওগাঁর বদলগাছীতে কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে ঠাঁই হলো মিজানুর রহমান (২৬) নামের এক যুবকের। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। বর্তমানে তার ঘরে এক স্ত্রী রয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) রাতে উপজেলা দোনইল গ্রামে বিয়ের আয়োজনের সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমিন। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

গোপনে দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন ও কনে বিয়ের উপযুক্ত না হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেয়া হয়।

মিজানুর রহমান উপজেলার তাজপুর গ্রামে সিদ্দিক দেওয়ানের ছেলে। মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমান এক বছর আগে বিয়ে করেছেন। তাকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়ার জন্য তার এক খালা প্ররোচনা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ওই খালার মধ্যস্থতায় উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে মিজানুরের বিয়ে ঠিক হয়। মিজানুরের ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পর ওই কিশোরীর পরিবার গরিব হওয়ায় বিয়ে দিতে রাজি হয়।

সোমবার বিয়ের দিন ঠিক করা হলে বরযাত্রী বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে মেয়ের বাড়িতে যায়। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। তখন বরপক্ষ বিয়ে করবে না বলে কথা দেয়।

পরে ওই রাতেই দোনইল গ্রামে বরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আবারো বিয়ের আয়োজন করা হয়। তখন সচেতন এক ব্যক্তি ১০৯ নম্বরে ফোন করে বিয়ের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। পরে রাত ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মিজানুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে ঠাঁই হলো যুবকের

আপডেট সময় ০৮:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  নওগাঁর বদলগাছীতে কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে ঠাঁই হলো মিজানুর রহমান (২৬) নামের এক যুবকের। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। বর্তমানে তার ঘরে এক স্ত্রী রয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) রাতে উপজেলা দোনইল গ্রামে বিয়ের আয়োজনের সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমিন। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

গোপনে দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন ও কনে বিয়ের উপযুক্ত না হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেয়া হয়।

মিজানুর রহমান উপজেলার তাজপুর গ্রামে সিদ্দিক দেওয়ানের ছেলে। মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমান এক বছর আগে বিয়ে করেছেন। তাকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়ার জন্য তার এক খালা প্ররোচনা দেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ওই খালার মধ্যস্থতায় উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে মিজানুরের বিয়ে ঠিক হয়। মিজানুরের ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পর ওই কিশোরীর পরিবার গরিব হওয়ায় বিয়ে দিতে রাজি হয়।

সোমবার বিয়ের দিন ঠিক করা হলে বরযাত্রী বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে মেয়ের বাড়িতে যায়। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। তখন বরপক্ষ বিয়ে করবে না বলে কথা দেয়।

পরে ওই রাতেই দোনইল গ্রামে বরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আবারো বিয়ের আয়োজন করা হয়। তখন সচেতন এক ব্যক্তি ১০৯ নম্বরে ফোন করে বিয়ের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। পরে রাত ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মিজানুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।