ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসিআই কম্বাইন হারভেস্টার কিনে হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  ধান কাটা ও মাড়াইয়ের সুবিধার্থে নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনায় এসিআই কোম্পানির কম্বাইন হারভেস্টার প্রদান করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সামনে হারভেস্টার মালিক সমিতির জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে হারভেস্টার মালিকরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে হারভেস্টার মালিকরা অভিযোগ করেন, গত বছরের মাঝামাঝি ও চলতি বছরের শুরুতে এসিআই কোম্পানির ২৮ লাখ টাকা মূল্যের কম্বাইন হারভেস্টার সরকারি প্রণোদনায় অর্ধেক দামে জেলার ৫৭ কৃষককে দেয়া হয়।

এসময় কোম্পানির তরফ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার বিন্দুমাত্র পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

মালিকরা অভিযোগ করেন, দুই বছরের ফ্রি সার্ভিসিং প্রদানের কথা থাকলেও ৬০০ ঘণ্টা পুননির্ধারন করা হয়। যা ছয় মাসের মধ্যে ৬০০ ঘণ্টা হয়ে যায়।

টেকসই মানের খুচরা যন্ত্রাংশ যেমন বেল্ট, কাটিং বেল্ট ইউনিট, নাট-বোল্টু প্রতিনিয়ত ভেঙে গেলেও কোম্পানি সঠিক সময়ে সরবরাহে ব্যর্থ হয়। মাঠে হারভেস্টার মেশিন চলাকালীন স্বল্প সময়ে দক্ষ কারিগর দ্বারা মেরামত করার সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।

জেলার পোরশা উপজেলার আব্দুস সালাম সরদার বলেন, ভর্তুকির আওতায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনেছিলাম। মেশিনটি নেয়ার সময় কোম্পানির মাঠ কর্মীরা বলেছিল কাদামাটির মধ্যে পড়ে থাকা ধানও কাটা যাবে।

দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ যে কোনো সময় নষ্ট হলে ফ্রি সার্ভিসসহ ওই যন্ত্রাংশ দেয়া কথা। কিন্তু কোনো কিছুই দেয়া হয়নি। ধান কাটার সময় তিনমাসের মধ্যে একটি ব্লেড ভেঙে যায়।

বগুড়াসহ আশপাশের জেলায় না পেয়ে ঢাকা থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। ১২ হাজার টাকা দামের ব্লেড ২৪ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। এছাড়াও পাঁচদিন বসে থাকতে হয়েছে। একদিকে যেমন খরচ বেশি পড়ল অপরদিকে ধান কাটার সময়ও শেষ হয়ে গেল।

নজিপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, হারভেস্টার মেশিনের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে টেকনিশিয়ানরা সময় মতো আসে না। টেকনিশিয়ানরা নিজেরাই অদক্ষ। ধান কাটতে গিয়ে যদি প্রায় মেশিন নষ্ট হয় তাহলে কিভাবে আমরা কাজ করবো।

নওগাঁ এসিআইয়ের টেকনিশিয়ান আবু তালেব বলেন, প্রত্যেকটা কোম্পানির একই অবস্থা পার্টস সহজেই পাওয়া যায় না। ঠিক আমাদের কোম্পানির ক্ষেত্রেও তাই। শুধু কম্বাইন হারভেস্টার নয় পাওয়ার টিলারের ক্ষেত্রে পার্টস সহজেই পাওয়া যায়না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচারক সামছুল ওয়াদুদ বলেন, হারভেস্টারের কিছু সমস্যা ছিল। যা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

ট্যাগস

এসিআই কম্বাইন হারভেস্টার কিনে হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৮:২২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  ধান কাটা ও মাড়াইয়ের সুবিধার্থে নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনায় এসিআই কোম্পানির কম্বাইন হারভেস্টার প্রদান করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সামনে হারভেস্টার মালিক সমিতির জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে হারভেস্টার মালিকরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে হারভেস্টার মালিকরা অভিযোগ করেন, গত বছরের মাঝামাঝি ও চলতি বছরের শুরুতে এসিআই কোম্পানির ২৮ লাখ টাকা মূল্যের কম্বাইন হারভেস্টার সরকারি প্রণোদনায় অর্ধেক দামে জেলার ৫৭ কৃষককে দেয়া হয়।

এসময় কোম্পানির তরফ থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার বিন্দুমাত্র পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা।

মালিকরা অভিযোগ করেন, দুই বছরের ফ্রি সার্ভিসিং প্রদানের কথা থাকলেও ৬০০ ঘণ্টা পুননির্ধারন করা হয়। যা ছয় মাসের মধ্যে ৬০০ ঘণ্টা হয়ে যায়।

টেকসই মানের খুচরা যন্ত্রাংশ যেমন বেল্ট, কাটিং বেল্ট ইউনিট, নাট-বোল্টু প্রতিনিয়ত ভেঙে গেলেও কোম্পানি সঠিক সময়ে সরবরাহে ব্যর্থ হয়। মাঠে হারভেস্টার মেশিন চলাকালীন স্বল্প সময়ে দক্ষ কারিগর দ্বারা মেরামত করার সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।

জেলার পোরশা উপজেলার আব্দুস সালাম সরদার বলেন, ভর্তুকির আওতায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনেছিলাম। মেশিনটি নেয়ার সময় কোম্পানির মাঠ কর্মীরা বলেছিল কাদামাটির মধ্যে পড়ে থাকা ধানও কাটা যাবে।

দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ যে কোনো সময় নষ্ট হলে ফ্রি সার্ভিসসহ ওই যন্ত্রাংশ দেয়া কথা। কিন্তু কোনো কিছুই দেয়া হয়নি। ধান কাটার সময় তিনমাসের মধ্যে একটি ব্লেড ভেঙে যায়।

বগুড়াসহ আশপাশের জেলায় না পেয়ে ঢাকা থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। ১২ হাজার টাকা দামের ব্লেড ২৪ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। এছাড়াও পাঁচদিন বসে থাকতে হয়েছে। একদিকে যেমন খরচ বেশি পড়ল অপরদিকে ধান কাটার সময়ও শেষ হয়ে গেল।

নজিপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, হারভেস্টার মেশিনের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে টেকনিশিয়ানরা সময় মতো আসে না। টেকনিশিয়ানরা নিজেরাই অদক্ষ। ধান কাটতে গিয়ে যদি প্রায় মেশিন নষ্ট হয় তাহলে কিভাবে আমরা কাজ করবো।

নওগাঁ এসিআইয়ের টেকনিশিয়ান আবু তালেব বলেন, প্রত্যেকটা কোম্পানির একই অবস্থা পার্টস সহজেই পাওয়া যায় না। ঠিক আমাদের কোম্পানির ক্ষেত্রেও তাই। শুধু কম্বাইন হারভেস্টার নয় পাওয়ার টিলারের ক্ষেত্রে পার্টস সহজেই পাওয়া যায়না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচারক সামছুল ওয়াদুদ বলেন, হারভেস্টারের কিছু সমস্যা ছিল। যা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।